মুফতি হান্নানের দণ্ড কার্যকরে কাশিমপুরে ফাঁসির মহড়া
জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহযোগী বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করতে প্রস্তুত বলে জাানিয়েছে কারা প্রশাসন। সরকারের নির্দেশনা পেলে দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের জন্য এরই মধ্যে মহড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শীর্ষ জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানকে রাখা হয়েছে কাশিমপুর কারাগারের হাইসিকিউরিটি ইউনিটের ‘হিমেল’ নামের কনডেম সেলে।
তবে কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নানসহ দুজনের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতির নাকচের কোনো নথি রোববার বিকেল পর্যন্ত কারাগারে পৌঁছায়নি। আদেশের কপি পেলে দ্রুত সময়ে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ১১ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে যেকোনো দিন ফাঁসি কার্যকর হবে মুফতি হান্নানের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শনিবার মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে তার ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো আইন বাধা নেই। কারাবিধি অনুযায়ী যেকোনো সময় তার ফাঁসি কার্যকর হবে।
ফাঁসির দণ্ড পাওয়া তিনজনের মধ্যে হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল রয়েছেন কাশিমপুর কারাগারের হাইসিকিউরিটি কারাগারে। আর দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন আছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে।
২০০৪ সালের ২১ মে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। সিলেটের হজরত শাহজালাল (র.) মাজারে হামলায় তিনজন খুনের মামলায় আদালত মুফতি হান্নানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। পরবর্তী সময়ে উচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউতেও গত ১৯ মার্চ এই সাজা বহাল থাকে। পরে অপরাধ স্বীকার করে গত ২৭ মার্চ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন তারা।
মন্তব্য চালু নেই