মুন্সীগঞ্জে মেঘনায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবি, ১১ লাশ উদ্ধার
কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে মেঘনায় ডুবে গেছে এমভি মিরাজ-৪ নামের একটি লঞ্চ। এতে শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনার মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘটনাস্থলে যায় প্রত্যয় নামে উদ্ধারকারী জাহাজ।
রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শরিয়তপুরের পাচঁগাঁও থানার নরিয়া গ্রামের লিটন মিয়ার স্ত্রী টুম্পা(২৮), জলিল শিকদার(৫০), আনুমানিক ৬০ ও ৭০ বছরের দুই নারী ও অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩৫)। বাকিদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে দুপুরের পরে শরীয়তপুরের দিকে রওনা দেয় এমভি মিরাজ-৪ লঞ্চটি। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দৌলতপুর গ্রাম সংলগ্ন মেঘনার মোহনায় পৌঁছে এটি কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে। প্রবল ঝড়ের তোড়ে এসময় মাঝনদীতে ডুবে যায় লঞ্চটি।
ঘটনার সময় অন্তত ৭০ জন যাত্রী সাঁতরে পড়ে উঠতে সক্ষম হয়। বাকিরা নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী নদী থেকে নারী ও শিশুসহ নয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যয় নামে উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয়। যদিও এর আগেই গজারিয়া নৌফাঁড়ি পুলিশ ও স্থানীয়রা নৌকা ও ট্রলারের সাহায্যে উদ্ধার কাজ শুরু করে। রাতে নৌবাহিনীর ১৩ সদস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
নিহত টুম্পার স্বামী লিটন সাঁতার কেটে নদীপাড়ে উঠে আসেন। তিনি জানান, তার স্ত্রীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তবে দুই ছেলে সুমন(৮) ও মাহিম(২) নিখোঁজ রয়েছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ লঞ্চডুবির ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সাঁতরে এবং স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় ৩০-৪০ জন যাত্রী তীরে উঠতে সক্ষম হয়। পরে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চের যাত্রীদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা একযোগে কাজ শুরু করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জাহাজটি সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ইতিমধ্যে এমভি মিরাজ-৪ লঞ্চটির ডুবে যাওয়ার স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এখনো লঞ্চটি উদ্ধারের কাজ শুরু হয়নি।
মন্তব্য চালু নেই