মুখের ব্যায়ামে বদলে ফেলুন চেহারার ধরন প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিটে

বৈজ্ঞানিকভাবে একটি মুখ ৫৭টি পেশি দিয়ে গঠিত। এটা শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । আমরা ফিটনেস সম্পর্কে সবাই সচেতন, তবে মুখের ব্যায়ামের ক্ষেত্রে খুবই উদাসীন। তবে প্রতিদিন কেবল ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় নিয়ে একটু মুখের ব্যায়াম করলে মুখের পেশি সবল হয়, কোষগুলো প্রাণবন্ত হয়, কোলাজেন উৎপাদন উন্নত হতে পারে, ত্বকে অক্সিজেন বৃদ্ধি পেয়ে সজীব ও টান টান হয়। এই ব্যায়াম ত্বক ঝুলে যাওয়া রোধ করে, ডাবল চিন হওয়া থেকে বিরত রাখে।

মুখের ব্যায়াম রক্ত প্রবাহ এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিক করে, যার ফলে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে এবং আপনার ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে, মুখের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। আমাদের সব দুশ্চিন্তা এবং চাপের বহিঃপ্রকাশ হয় চেহারায়। তাই মুখের ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ এগুলো দূর করতে।

এই ব্যায়াম নিয়মিত করলে দুই সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল পেতে শুরু করবেন এবং ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যে আপনার চেহারার বয়স পাঁচ থেকে আট বছর কম মনে হবে।

ব্যায়াম করে বা ডায়েট করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও দেখবেন যে অনেকেরই চেহারা একটু মোটাভাব থাকে। তখন চেহারা দেখে মনে হয় যেন স্বাস্থ্য বেশ ভালো, অথবা ছবি দেখলে মনটা একটু খারাপ হয়ে যায়। মনে হয় যেন নিজেকে অনেক স্থূল লাগছে। আর তাই প্রতিদিন একটু সময় বের করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বা যেকোনো জায়গায় থেকে ১০ থেকে১৫ মিনিট মুখের ব্যায়াম করলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। অনেকের ডাবল চিন থাকে,গালগুলো একটু ফোলা ফোলা থাকে। এই ব্যায়াম একটি সুন্দর ও সুগঠিত মৌখিক অবয়ব তুলে ধরতে সাহায্য করবে।

মুখের এসব ব্যায়ামগুলো হলো

১. ডাবল চিন এর জন্য : ঘাড় পেছনের দিকে নিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে হা করে মুখ খুলতে হবে আবার বন্ধ করতে হবে । এই ভাবে মোট ১০-১২ বার করতে হবে।

২. চোয়ালের জন্য : ঘাড় পেছনের দিকে নিয়ে চোয়ালকে বাইরের দিকে আবার ভেতরের দিকে আনতে হবে। চোয়াল বাইরের দিকে দিয়ে ১০ সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে আবার ভিতরে নিয়ে আসতে হবে। এভাবে ১০-১২ বার করতে হবে ।

৩. গাল ভাঙ্গার জন্য / চাপানোর জন্য : ঠোঁট দুটো পাখির ঠোঁটের মতো করে গাল দুটো ভিতরের দিকে টেনে নিয়ে ১০ সেকেন্ড থাকতে হবে, ১০ সেকেন্ড পরে আবার ছেড়ে দিতে হবে । এভাবে ১০-১২ বার করতে হবে ।

৪. চিকের জন্য : মুখে বাতাস নিয়ে গাল ফুলিয়ে ১০ সেকেন্ড থাকতে হবে ১০ সেকেন্ড পরে আবার ছেড়ে দিতে হবে । একই ভাবে ১০-১২ বার করতে হবে ।

৫. চোখের নিচের মাংশ পেশির জন্য : হাসুন ! অর্থাৎ হাসির ভঙ্গিমা করুন, এইবার এই অবস্থায় হা করুন, এবার চোখের ঠিক কিছুটা নিচে ফোলা মাংসপেশিতে তর্জনী আঙুলটা রেখে একবার উপরের দিকে একবার নিচের দিকে চাপ দিতে হবে। এভাবে ১০-১২ বার করতে হবে|



মন্তব্য চালু নেই