মুক্তি পেল জয়া অভিনীত ‘বিসর্জন’

ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত বাংলা সিনেমা ‘বিসর্জন’ মুক্তি পেয়েছে গতকাল। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জয়া আহসান ও টালিগঞ্জের আবির।

কৌশিক বলেন, ট্রেলার বা গানে কিছু দৃশ্য এমনভাবে সাজিয়েছি, যাতে দুই যোগ দুই সমান চার, সেটা দর্শকের চোখের সামনে পরিষ্কার না হয়ে যায়৷ বরং বিসর্জন সম্পর্কে দর্শক যদি মনের মধ্যে একটা চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করে দেন, তা হলে ভালো হয়৷ আবার ট্রেলার বা গানে এমন কিছু দৃশ্য রয়েছে যা মূল ছবিতে নেই।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে ভারতে মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েকটি ছবি। এখানে কিভাবে বিসর্জনকে এগিয়ে রাখবেন জানতে চাইলে তিনি কৌশিক বলেন, বিসর্জন এগিয়ে থাকবে, এগিয়ে আছে বলেই৷ শ্রেষ্ঠ বাংলা ছবির জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে৷ বাঙালিরা এই ছবি দেখে বছর শুরু করবেন, সেটা তো আশা করতেই পারি!

তিনি আরও বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে নানা স্বাদের ছবি মুক্তি পাচ্ছে৷ কিন্তু বিসর্জন-য়ে বাঙালিয়ানা অনেকটাই বেশি৷ সারা বছর যতই চাইনিজ বা কনন্টিনেন্টাল খেতে ভালো লাগুক, পয়লা বৈশাখের সময় বাঙালি মন কিন্তু কলাপাতায় ঘি-ভাত, শুক্তো, ইলিশ মাছ, কষা মাংস খেতে চায়।’

‘বিসর্জন’ সিনেমায় বাংলাদেশি জয়াকে নায়িকা হিসেবে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে কৌশিক বলেন, ‘আসলে জয়া যেভাবে ফরিদপুরের বাংলা বলেছে, সেটা আর কেউ পারত না।’

অভিনেতা আবির সম্পর্কে পরিচালক বলেন, ‘আবির যে চরিত্র করেছে, তার জন্য ও নিজেকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে৷ আসলে ছবিতে প্রতিটা চরিত্রে অভিনেতারা বিশ্বাসযোগ্য না হলে, সে ছবি জাতীয় পুরস্কারের জুড়িদের মন জয় করতে পারে না।’

‘বিসর্জন’ চলচ্চিত্রে জয়া, আবিরের পরই তৃতীয় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরিচালক কৌশিক নিজেই্ নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অনেকদিন পর নিজের জন্য একটা চরিত্র মন দিয়ে লিখেছি৷ বেশ ভালোই অভিনয় করেছি (হাসি)।’

স্ত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে কৌশিক বলেন, ‘পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ সম্পূর্ণ না করেই আমায় চলে যেতে হয়েছিল অন্য আরেকটি চলচ্চিত্রের প্রয়োজনে। পোস্ট-প্রোডাকশনের অধিকাংশটাই সামলেছে চূর্ণী৷ সে কারণে আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ তার কাছে।’



মন্তব্য চালু নেই