মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে থাকায় গ্রেপ্তার হন পিয়াস
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রয়াত ড. পিয়াস করিম মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। মুক্তিযুদ্ধের সময় পিয়ান করিমকে পাকিস্তানি আর্মিরা গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় বলেও তিনি জানান।
রোববার দুপুরে রাজধানীর বিয়াম অডিটরিয়ামে জুডিশিয়াল অ্যাডমিনেস্ট্রেশন আয়োজিত ‘জুডিশিয়াল মেডিয়েশন স্কিল ট্রেনিং ফর অ্যাকটিভ জাজেস’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘পিয়াস করিমের বাবা এমএ করিম একজন সনামধন্য আইনজীবী ছিলেন। একাত্তরে কুমিল্লায় থাকাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে পিয়াস করিমকে পাকিস্তানি আর্মিরা বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তখন পিয়াস করিমের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে এমএ করিম সাহেব বন্ড দিয়ে পিয়াস করিমকে পাকিস্তানি আর্মিদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনেন। তবে একাত্তরের শেষদিকে তিনি (পিয়াস করিমের বাবা) শান্তিকমিটিতে যোগ দেন। এবং তাদেরকে ডান্ডি কার্ড প্রদান করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’
৮৬ বছর বয়সী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ড. পিয়াস করিমের বাবা অ্যাডভোকেট এমএ করিম তুলে দিয়েছিলেন এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অ্যাডভোকেট এমএ করিম ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। তাকে হত্যার বিষয়ে এমএ করিমের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি একেবারেই ভিত্তিহীন।’
মন্তব্য চালু নেই