‘মুক্তিযুদ্ধকে বিক্রি করে স্বার্থ হাসিল দেখতে চাই না’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকে বিক্রি করে কেউ স্বার্থ হাসিল করুক এই দৃশ্য দেখতে চাই না। নিজের পরিচয়কে বড় করে দেখতে হবে।
‘পিপলস এগেইনস্ট ভায়োলেন্স ইন ইলেকশন’ (পেব) এর পীস অ্যাম্বাসেডর দ্বিতীয় জাতীয় কনভেনশনে তিনি একথা বলেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে এ কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সুলতানা কামাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে বিক্রি করে কেউ স্বার্থ হাসিল করুক এই দৃশ্য আমরা দেখতে চাই না। নিজের পরিচয়কে বড় করে দেখতে হবে। আমরা যদি দলগত ও সম্প্রদায়গত পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে জাতিগত পরিচয়ে বড় হতে পারি, তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে।’
তিনি বলেন, ‘অন্য কেউ এসে আমাদেরকে শান্তির বাণী শোনাবে কেন? আমরা কি একে অপরের বন্ধু হতে পারি না? ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আমরা কেমন দেখতে চাই তা নিয়ে ভাবতে হবে।’
‘দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ থাকলেও বর্তমানে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে নির্বাচনী সহিংসতা বেড়েই চলেছে। শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
কনভেনশনের শুরুতে ‘নির্বাচনী সহিংসতার বিরুদ্ধে জনগণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ম্যানেজার সৈকত শুভ্র আইচ মনন বিগত সময়ে প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ও চ্যালেঞ্জসমূহ তুলে ধরেন।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত অ্যাম্বাসেডররা বলেন, বাংলাদেশে যখনই নির্বাচন হয়, তখনই সহিংসতা তাড়া করে বেড়ায়। সহিংসতার প্রথম শিকার হয় সংখ্যালঘুরা।
কনভেনশনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ডিএফআইডি’র বাংলাদেশ প্রধান জেন এডমন্ডসন, ইউএসএইড’র মিশন ডিরেক্টর জেনিনা জারুজেলস্কি, আইএফইএস’র চিফ অব পার্টি সিলিয়া প্যাসিলিনা প্রমুখ।
এতে দেশের ৪৮টি জেলা থেকে আগত অ্যাম্বাসেডররাও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
মন্তব্য চালু নেই