মিতু হত্যাকাণ্ড: পুলিশের সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করবে
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সব সংস্থা একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার ।
রোববার রাতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
নগরীর সব থানার ওসি, অতিরিক্ত কমিশনার, সহকারী কমিশনারসহ সব কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বনজ কুমার জানান, পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই), র্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা সম্মিলিতভাবে মিতুর খুনিদের গ্রেপ্তারে একযোগে কাজ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারির সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (প্রশাসন) বিনয় কৃষ্ণ বালাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ছিলেন।
প্রায় তিন ঘণ্টার এই রুদ্ধদ্বার সভায় মিতু হত্যাকাণ্ডের পর সিএমপির সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজ নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করা হয়। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের মোটিভ, চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় সম্মিলিতভাবে কাজ করে বাবুল আক্তারের স্ত্রীর খুনিদের যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত আইজিপি।
সভা শেষে পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, খুনিদের গ্রেপ্তারে যেসব সংস্থা আছে পিবিআই, র্যাব, সিআইডি, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, ডিবি, সবাই একসঙ্গে মাঠে থাকবে। আমরা সিএমপিকে সব ধরনের সহযোগিতা দেব। মামলা তদন্তেও আমরা সব সহযোগিতা দেব। প্রাথমিকভাবে এটাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।
রোববার সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড় এলাকায় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
মন্তব্য চালু নেই