মিঠাপুকুরে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের তাগিদ ॥ ওসি’র মাইকিং

সকাল-সন্ধ্যা চলছে মাইকিং। আগামী ৩০ শে জুনের মধ্যে মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রশন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় পহেলা জুলাই থেকে রেজিস্ট্রশন বিহীন মোটর সাইকেল আটক করা হবে। এ বিষয়ে কোন ব্যক্তির তদবির বিবেচিত হবে না। ওসির বরাত দিয়ে ক’দিন ধরে এভাবেই মাইকিং করা হচ্ছে মিঠাপুকুরের বিভিন্নস্থানে।

মিঠাপুকুর উপজেলায় মোটর সাইকেল বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে প্রায় ৩০টি মত। এরমধ্যে শঠিবাড়ীতে ১২, মিঠাপুকুরে ৩, জায়গীরে ৩, বৈরাতিহাটে ৪, শুকুরেরহাটে ৫, ছড়ান ২, বালুয়া মাসিমপুর ১, বৈরাগিগঞ্জ ১টিতে প্রতিমাসে শতাধিক মোটর সাইকেল বিক্রয় হয়। কিন্তু, ওইসব মোটর সাইকেল করা হয়না রেজিস্ট্রেশন। দিনেরপর দিন এভাবে মোটর সাইকেল রেজিস্ট্রেশন না করার ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব। ধারনা করা হচ্ছে- মিঠাপুকুরে শতকারা ৯৫ ভাগ মোটর সাইকেলের নেই রেজিস্ট্রশন। উপজেলার বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৪০/৫০ হাজর টাকা জমা দিয়ে মোটর সাইকেল ক্রয়ের সুযোগ থাকায় বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এসব মোটর সাইকেল চালকের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যবহার করছেন না হেলমেট ও মানছে ট্রাফিক আইন। অপরদিকে, উপজেলায় প্রায় ৩ শতাধীক বেকার যুবক মোটর সাইকেলে যাত্রী বহন করে জীবিকা নির্বাহ করছে। তাদেরও নেই রেজিস্ট্রশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স। সম্প্রতি, পুলিশের মহাপরিদর্শক রেজিস্ট্রেশন বিহীন মোটর সাইকেল আটকের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে, মিঠাপুকুরের চালকরা অনেকেই রেজিস্ট্রশন করতে আগ্রহী হচ্ছেন। যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু, এতেও পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দেওয়ার জন্য রংপুর শহরে মাত্র দু’টি ব্যাংক নির্দিষ্ট করায় আগ্রহীরা পরপর কয়েকদিন চেষ্টা করেও টাকা জমা দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক’জন মোটর সাইকেল মালিক বলেন, ১০/১৫ হাজার টাকা রেজিস্ট্রশন ফি নির্ধারন করে সহজে এর সুযোগ দিলে সরকার এ খাত থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় করতে পারবে। মোটর সাইকেল বিক্রেতারা বলেছেন, মোটর সাইকেল বিক্রয়ের সময় রেজিস্ট্রশন ফি আদায়ের প্রথা চালু করা উচিৎ। এতে, বাধ্য হয়েই চালকদের রেজিস্ট্রশন করতে হবে। এদিকে, আরমাত্র ৪ দিন পরেই শুরু হবে রেজিস্ট্রশন বিহীন মোটর সাইকেল আটক অভিযান। মিঠাপুকুর উপজেলার মোটর সাইকেল মালিকদের ৩০ শে জুনের মধ্যে মোটর সাইকেলের রেজিস্ট্রশন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। অন্যথায়, ১ জুলাই থেকে রেজিস্ট্রশন বিহীন মোটর সাইকেল আটক করা হবে। এ বিষয়ে কারো কোন রকম তদবির বিবেচিত হবেনা বলে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীরের বরাত দিয়ে ক’দিন ধরে এভাবেই মাইকিং করা হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই