মালয়েশিয়ায় এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী

মা-ছেলেকে রিমান্ডে নিলেই তথ্য বেরিয়ে আসবে

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়া হত্যার বিচার করতে হলে মা-ছেলেকে রিমান্ডে নিতে হবে। তাদের রিমন্ডে নিলে অজানা অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে।

গত বুধবার মালয়েশিয়ায় এক আলোচনা সভায় জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি তুলেছিলেন তারেক রহমান।

শনিবার গণভবনে চীন সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারেকের ওই বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে সংলাপের কথা বলেছেন, আবার তাঁর ছেলে মালয়েশিয়ায় জিয়া হত্যার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে রিমান্ডে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘মা বলে সংলাপ চাই, বেটা বলে আমাকে রিমান্ডে নিতে’।

প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মুশতাকের হাতে সেনাপ্রধান হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী খুনিদের তিনি দেশের বাইরে দায়িত্ব দিয়েছেন, দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী উল্টো খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি প্রশ্ন করেন, ‘স্বামীর লাশ কেন দেখতে চাননি? ছেলে আজ বড় কথা বলছে, বাপের মুখ দেখতে চেয়েছে? রহস্য কী? জিয়া হত্যার মামলা চট্টগ্রাম কোর্টে, বিএনপির কেউ মামলা চালাচ্ছে? এই বিচার কেন বিএনপি ক্ষমতা থাকার সময় করল না? খুনের মামলা এখনো আছে। খুনের মামলা তামাদি হয় না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন, ‘খালেদা জিয়া তিন তিনবার ক্ষমতায় থাকলেন, তারেক ব্যবসা করল, বাপ হত্যার বিচার করল না? আজ বলে রিমান্ডের কথা।’ তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া এরশাদকে তাঁর স্বামীর হত্যাকারী বলেন। তাহলে কেন তাঁর কাছ থেকে দুটি বাড়ি, গাড়ি, নগদ টাকা নিলেন? রহস্য কী?

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ সালে তিন যখন দেশে ফিরেন, জিয়াউর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে তাঁকে ঢুকতে দেয়নি। তিনি জিয়াকে ‘খুনি’ উল্লেখ করে বলেন, ‘বাবার খুনির কাছ থেকে আমি কেন বাড়ি নিতে যাব?…তাঁরা তো নিয়েছেন। তাঁদের তো লজ্জা হয়নি, রিমান্ডে নিলে নিতে হবে মা-ছেলেকে।’



মন্তব্য চালু নেই