মাসের শেষে দুটি শৈত্যপ্রবাহ
চলতি মাসের শেষ দিকে দেশে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময়ে দেশের নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি অথবা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়া দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির নিয়মিত বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, ডিসেম্বর মাসে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম। এ মাসে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। তবে মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুইটি মৃদু ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দেশের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকবে।
বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে জানানো হয়, বিদায়ী নভেম্বর মাসে সারা দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা ৯৮ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। নভেম্বর মাসে পশ্চিমা লঘুচাপ দুর্বল থাকায় এবং বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট কোন লঘুচাপ/নিন্মচাপ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম না করার কারণে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। যার মধ্যে ৩ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে এবং ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর নিন্মচাপে পরিণত হয়। ৮ নভেম্বর গভীর নিন্মচাপটি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় দুর্বল হয়ে নিন্মচাপে পরিণত হয়। পরবর্তীতে এটি আরো দুর্বল হয়ে সুষ্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে ভারতের অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করে। অপর দুটি লঘুচাপ সাগরেই গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। নভেম্বর মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং দিনসংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাসসহ দেশের নদ-নদীর অবস্থা নভেম্বর মাসের পূর্বাভাসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল বলে বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে জানানো হয়।
মন্তব্য চালু নেই