মঙ্গলবার বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় জানাজা
মালয়েশীয় এয়ারলাইনসে আসছে কোকোর মরদেহ
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ নিয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে মালয়েশীয় এয়ারলাইনসের একটি বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তার স্বজনরা। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১১ টা ৪০ মিনিটের দিকে বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করবে।
মালেয়শিয়া বিএনপির প্রাক্তন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বাদলুর রহমান খান জানিয়েছেন, ৯টা ৪০ মিনিটে মালেয়শিয়া থেকে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
তিনি জানান, কোকোর মরদেহের সঙ্গে থাকবেন তার স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান, মামা শামীম ইস্কান্দার, শামীম ইস্কান্দারের শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালু, কোকোর মামাশ্বশুর এবং মালয়েশিয়া বিএনপির ২০ থেকে ২৫ জন স্থানীয় নেতা।
এদিকে বিএনপির গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কোকোর মরদেহ বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশান কার্যালয়ে নেওয়া হবে। পরে সেখান থেকে দ্বিতীয় জানাজার নামাজের জন্য জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেওয়া হবে। মঙ্গলবার বাদ আসর এ নামাজে জানাজা হবে। এর আগে রোববার বাদ জোহর মালয়েশিয়ার নিগারা জাতীয় মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার দুপুরে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, ‘মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর নামাজে জানাজা সর্বসাধারণের সুবিধার্থে মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পরিবর্তে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘জানাজা শেষে তার লাশ বনানীর সেনা কবরস্থানে দাফন করা হবে। জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সর্বসাধারণকে অনুরোধ করা হলো।’
শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। তার মৃত্যুতে আজ সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিন দেশব্যাপী শোক পালন করছে বিএনপি। এ উপলক্ষে দেশের সব দলীয় কার্যালয়ে সোমবার থেকেই কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরের দিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী শর্মিলা রহমান, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান। থাইল্যান্ড যাওয়ার পর গ্রেফতারি পরোয়ানা এড়াতে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান কোকো। শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে কোকোকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। পথেই মারা যান তিনি।
মঙ্গলবার বায়তুল মোকাররমে কোকোর দ্বিতীয় জানাজা
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর দ্বিতীয় জানাজা নয়াপল্টনের পরিবর্তে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার বাদ আসর এই নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে মালয়েশিয়ার নিগারা জাতীয় মসজিদে রোববার বাদ জোহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, ‘মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর নামাজে জানাজা সর্বসাধারণের সুবিধার্থে মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পরিবর্তে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি জানান, নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ বনানীর আর্মি কবরস্থানে দাফন করা হবে। নামাজে জানাজা ও লাশ দাফনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ সর্বসাধারণকে অনুরোধ করেন রিজভী।
এ ছাড়া রিজভী জানান, বুধবারের পরিবর্তে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সারা দেশে গায়েবানা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী (ঢাকা মহানগর ব্যতীত) মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর গায়েবানা নামাজে জানাজায় শরীক হওয়ার জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে অনুরোধ করেন তিনি।
শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ মারা যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে গ্রেফতার হন কোকো। ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরদিন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। থাইল্যান্ড যাওয়ার পর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান কোকো। সেখানেই শনিবার তিনি মৃতুবরণ করেন।
মন্তব্য চালু নেই