বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক না নেয়ার ঘোষণা
মালয়েশিয়া সরকারের তাড়াহুড়ো সিদ্ধান্তের সমালোচনা
হঠাৎ করেই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া বন্ধে মালয়েশিয়া সরকারের তাড়াহুড়ো নীতির সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী রাফিদা আজিজ। তার মতে, বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রস্তাব থেকে সরে আসায় মালয়েশিয়া সরকারের ওপর থেকে জনগণের আস্থা কমবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কী এমন হয়েছে? একটি প্রস্তাব বা নীতি ঘোষণা দেয়ার আগে কি তা নিয়ে স্টাডি বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি? সবার দৃষ্টিভঙ্গি আমলে নিতে সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কি আলোচনা করা হয়নি?
শনিবার মালয়েশিয়ার দ্য স্টার পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ভালো হোক বা খারাপ হোক এসব শ্রমিক নেয়ার ফলে কী প্রভাব পড়বে তা কি যাচাই করা হয়নি? শুক্রবার ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, বেসরকারি খাত সন্দিগ্ধ ও উদ্বিগ্ন। শ্রমিক ইস্যুতে সরকার যা বলছে তারা তা মেনে নিতে পারছে না।
এদিকে পুত্রজয়ায় যোগাযোগ ও মাল্টিমিডিয়া বিষয়ক মন্ত্রী ড. সালেহ সাইদ কেরুয়াক বলেন, বিদেশি শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত যখন হিমঘরে গিয়েছে তখন শূন্যস্থানগুলো পূরণে মালয়েশিয়ানদেরই এগিয়ে আসতে হবে। মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি শ্রমিক নেয়ার সিদ্ধান্ত হিমঘরে পাঠিয়েছে। এ সিদ্ধান্তকে তিনি খুব ভালো একটি উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে নতুন করে ১৫ লাখ শ্রমিক নেবে এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মহল এর বিরোধিতা করে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশসহ বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত সাময়িক স্থগিত ঘোষণা করে।
মন্তব্য চালু নেই