মানুষ হত্যা বন্ধ করে নির্বাচন দিন

ক্রসফায়ার আর বন্ধুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যা বন্ধ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সরকারি অমানবিক অত্যাচারের মাত্রা তাদের অতীতের সকল রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে বর্তমান সরকার।

রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দলের যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘ক্রসফায়ার আর বন্দুকযুদ্ধের নামে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে। এই অশান্তি, আতংক আর নৈরাজ্যের অমানিশা কাটাতে এই মুহূর্তে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে দুঃসহ নৈরাজ্যকর কালো অমানিশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। আওয়ামী লীগ সাড়ে পাঁচ বছর আগে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বেআইনি গুম, ক্রসফায়ার ও বন্দুক যুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। বিনাবিচারে আটক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু ছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন তথাকথিত মহাজোট সরকারের ভয়ংকর রুদ্রশাসনের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য।

বিএনপির এই নেতা বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পূর্বাপর সময়ে সরকারি অমানবিক অত্যাচারের মাত্রা তাদের অতীতের সকল রেকর্ডকে ভঙ্গ করেছে। সরকারি অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ-যুবলীগ যেন এ যুগের ‘কাপালিক’। এলোপাতাড়ি মারধর, চাপাতি দিয়ে হত্যা, রক্তাক্ত জখম, অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হল দখল, সিট বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, মুক্তিপণ আদায় এবং পরীক্ষা কেন্দ্র দখলে ছাত্রলীগের কর্মীরা এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।”

সরকারর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘সরকারি পেষণযন্ত্র জনগণের টুঁটি চেপে ধরেছে। এই অবৈধ সরকার এখন গলাচিপা সরকার। আর এই দমন-পীড়ন সুচারুভাবে সম্পন্ন করতেই র‌্যাবের অবৈধ ও নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের যাত্রাপথে কোনো স্ট্রিটব্রেকার দেওয়া হয়নি। আর এ কারণেই র‌্যাব হত্যা গুম ও অপহরণের মূর্ত প্রতীকে পরিণত হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই