‘মানুষকে পুড়িয়ে মারা, এটা কী ধরনের আন্দোলন’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার সমালোচনা করে বলেছেন, “মানুষকে পুড়িয়ে মারা, এটা কী ধরনের আন্দোলন- এটা আমি জানি না। আমরা রাজনীতি করি তো মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের কথা চিন্তা করে মানুষকেই যদি মারা হয়, মানুষকেই যদি এভাবে পঙ্গু করে দেয়া হয়, একেকটা পরিবারকে যদি ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হয়, তাহলে কার জন্য রাজনীতি? কিসের জন্য রাজনীতি?”

বুধবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

নাশকতা না থামালে সরকার আরো কঠোর হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বরং আমি এটাই বলব, এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। আর তা না হলে আমাদেরকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।”

তিনি বলেন, “এটা তো রাজনীতি না। এটা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড, এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এদের বিরুদ্ধে সারাদেশকে, সারাদেশের মানুষকে রুখে দাঁড়াতে হবে।”

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “রাজনীতিতে কেউ যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তার খেসারত কি জাতিকে দিতে হবে? তার খেসারত কি মানুষকে দিতে হবে? নিজে নির্বাচনে আসেননি। আর এখন? মানুষ পুড়িয়ে মারা।”

প্রাথমকি শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, গত এক বছরে সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে কাজ করেছে তাতে বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদার আসন পেয়েছে; উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার পহেলা জানুয়ারিতে স্কুলের ছেলেমেয়েদর বই দিয়েছে, যাতে তাদের একটি দিনও নষ্ট না হয়।

স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের সংখ্যা কমাতে উদ্যোগ নিতে প্রতি জেলার জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে স্বাক্ষরতার হার বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের হার কমাতে বিভিন্ন জায়গায় জরিপ করে, সমস্যা চিহ্নিত করে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।



মন্তব্য চালু নেই