মানব পাচারে ৩ শতাধিক দালাল

দেশের বিভিন্ন স্থানের তিন শতাধিক দালাল সমুদ্র উপকূলবর্তী ৬০টি পয়েন্টকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় মানব পাচার অব্যাহত রেখেছে। আর এর জন্য দেশের ৪১টি জেলা থেকে মানুষ সংগ্রহ করে দালাল চক্র। মানব পাচার নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬০ পয়েন্টের মধ্যে পাচারের মূল ঘাঁটি শাহপরীর দ্বীপ। সাগর পথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের ক্ষেত্রে যে ৬০টি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র উপকূল ব্যবহার করা হয়- তার মধ্যে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া, ফিশারিঘাট, নাজিরারটেক, সমিতিপাড়া, কলাতলী, ঈদগাহ, খুরুশকুল, চৌফলদণ্ডী, পিএমখালী, মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া, গোরপঘাটা, কুতুবজোম, ধলঘাটা, উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া, রেজুনদী, ইনানী, ছেপটখালী, মনখালী, শফিরবিল, টেকনাফের বাহারছড়া, হাবিরছড়া, বড়ডেইল, মহেশখালীয়া পাড়া, সাবরাং নয়াপাড়া, কাটাবুনিয়া, খুরের মুখ, শাহপরীরদ্বীপ, ঘোলারপাড়া, মাঝেরপাড়া, পশ্চিম পাড়া, জালিয়াপাড়া, হাদুরছড়া, জাহাজপুরা, কচ্ছপিয়া, শামলাপুর, চকরিয়ার বদরখালী, সুন্দরবন, পেকুয়ার মগনামা, চট্টগ্রামে বাঁশখালী, আনোয়ারা, পটিয়ার শিকলবাহা, গহিরা, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, বন্দর, পতেঙ্গা, নোয়াখালীর চরজব্বার, হাতিয়ার নলচিরা, জাহাজমারা, পটুখালীর মনপুরা, সাতক্ষীরা, বরঘোনা, খুলনার পয়েন্ট সমুহ অন্যতম।

এ কাজে অন্তত তিন শতাধিক দালাল রয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবেদনে ২৬০ জনের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে। এরা হল টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের মিস্ত্রী পাড়ার মৃত মো. হাসিমের ছেলে মো. সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম, দক্ষিণপাড়ায় বসবাসকারি মিয়ানমারের বুচিডং এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে জহির মাঝি, একই এলাকার সোনা আলীর ছেলে মালেক মাঝি।

সাবরাংয়ের কুয়ানছড়িপাড়ার মৃত আমির হোসেনের ছেলে খুইল্যা মিয়া ও এজাহার মিয়া, মৃত কালা মিয়ার ছেলে জাহেদ হোসেন, মৃত আলী আহমদের ছেলে মো. ইউনুস, বশির আহমদের ছেলে আমান উল্লাহ, সলিম উল্লাহর ছেলে ফজল আহমদ, ফজল মিয়ার ছেলে সলিম উদ্দিন, কালা মিয়ার ছেলে আইয়ুব, আবুল খায়েরের ছেলে জহির আহমদ, নুরুল ইসলামের ছেলে আবদুল্লাহ, হাশেমের ছেলে জসিম, বাচার মিয়ার ছেলে আবদুল হক।

কাটাবুনিয়া এলাকার আবদুল কাশেমের ছেলে মো. ইসহাক, একই এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে সিদ্দিক আহমদ, আজিজুল রহমানের ছেলে ফয়েজ, মকবুল আহমদের ছেলে নুরুল ইসলাম ওরফে কালা পুতু, আবদুল মাজেদের ছেলে জাহাঙ্গীর, সফি উল্লাহর ছেলে মীর আহাম্মদ, কোয়াইনছড়ি এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে মো. কাসেম ওরফে বদ ও তার ছেলে মো. ইসলাম, জুনাইদ হোছাইন ওরফে তুরকি, একই এলাকার আবদুল কুদ্দুছের ছেলে ইমাম হোছন, আবদুল্লাহর স্ত্রী রিয়াজু বেগম, কাদির হোসেনের মেয়ে ফিরোজা বেগম।

একই এলাকার জৈনক হাফেজ উল্লাহ, মনির উল্লাহ, মো. জাহাঙ্গীর, আলমগীর, শওকত হোসেন, মৃত ছলিম হাজি আবদুল হকের ছেলে ছলিম উদ্দিন, মৃত মকবুল আহমদের ছেলে সৈয়দ হোসেন, কবির আহমদের ছেলে জাহাঙ্গীর, মো. ছিদ্দিকের ছেলে জসিম উদ্দিন, মৃত আবদুল শরিফের ছেলে ছিদ্দিক ওরফে বাগুইন্যা ও মোহাম্মদ শফি ওরফে মইগ্যা, মৃত শফি উল্লাহর ছেলে মীর আহমদ, মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে এজাহার মিয়া ও মোজাহের মিয়া, আবদুর ছেলে মো. ফারুক, আবদুল আমিনের ছেলে মো. শরীফ, নুরুল ইসলামের স্ত্রী মুন্নি আক্তার, শহর মুল্লুকের ছেলে আবদুল্লা, মৃত আমির হামজার ছেলে আদুল রহমান, কামাল, জামাল ও আবুল কালাম, ছুবি আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর, রাশেদ ও সাকের, মোহাম্মদ প্রকাশ লুনার ছেলে জাফর।

একই এলাকার মৃত ফজরাস সিকদারের ছেলে মো. হোছন ওরফে লুলা, আবদুল মাবুদের ছেলে ওমর হোসেন এবং ওসমান, মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে ফয়েজ উল্লাহ, হেলাল, আবদুল গফুরের ছেলে আবদুল্লা, ছৈয়দুর রহমানের ছেলে জিয়াউর রহমান, আবদুল হকের ছেলে নুরুল আলম, মৃত আবদুল কাদের প্রকাশ বদন্যার ছেলে আবদুল করিম, মৃত তাজুর মুল্লুকের ছেলে শামসুল আলম, মতিউর রহমানের ছেলে আবদুল আজিজ, মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে নুরুল আলম, মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে মো. আমিন, মো. হোছন প্রকাশ বাইল্যার ছেলে মো. দিলু, ছুনা আলীর ছেলে মো. ফারুক, আবদুল হকের ছেলে মো. আলম, ফয়জুর রহমানের ছেলে জিয়াউল হক, আবদুর রশিদের ছেলে দিলদার মিয়া।

কচুবনিয়া এলাকার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে মৌলভী বশির ওরফে ডাইল্যা, আবদুর রহিমের ছেলে নজির আহমদ প্রকাশ নজির ডাকাত, আবদুল খালেকের ছেলে আবদুল হামিদ, আবদুর রহমানের ছেলে মো. কাসেম ওরফে জিমা কাসেম, ফজল আহমদের ছেলে মো. ইসলাম ওরফে বাগু ও জাফর আলম, হাজি আবদুল খালেকের ছেলে মো. সিরাজুল হক, একই এলাকার সব্বির, মো. হোছন ওরফে মা হোছন, হাসান, আবদুস ছালাম, শাহজাহান, শাকের, এজাহার মিয়ার ছেলে মাজেদ, আবদুল শরীফের ছেলে মৌলভী আবুল হোসেন, আবদুল হকের ছেলে সাইফুল ও রশিদ আহমদ, লোকমান হাকিমের ছেলে ভুট্টো, মৃত মতিবলির ছেলে মো. ছালাম ওরফে মা ছালাম।

একই এলাকার কবির আহমদের ছেলে মৌলভী জিয়াউল হক, আবদুল হকের ছেলে হাফেজ কবির, ছৈয়দ হোসেন মেম্বারের ছেলে মৌলভী করিম উল্লাহ, আবদুল হকের ছেলে বশির আহমদ, মো. কাসেমের ছেলে মোহাম্মদ আলী, জাফর আহমদের ছেলে মোহাম্মদ জাবের, আবদুল মালেকের ছেলে বকসু মাঝি ও রশিদ আহমদ, আবদুল করিমের ছেলে মৌলভী আবুল হোসেন, মৃত ইমাম শরিফের ছেলে রহিম উল্লাহ, ছিদ্দিক আহমদের ছেলে ইমাম হোসন, আলীর ডেইল এলাকার নজির আহমদের ছেলে আক্তার কামাল ও সাঈদ কামাল।

হাদুরছড়া এলাকার আলো ফকিরের ছেলে আবদুল গফুর, মুন্ডার ডেইল এলাকার কবির আহমদের ছেলে মো. সাকের মাঝি, নাজু মিয়ার ছেলে নুরু মাঝি, হোসেন আলী সিকদারের ছেলে জহির উদ্দিন ওরফে কানা জহির, নয়াপাড়ার লাল মিয়ার ছেলে ইমাম শরীফ ও মো. শরীফ, আবদুল্লাহর ছেলে মো. লিটন, জালালের ছেলে মো. আবুল হাসিম, মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মো. দলিল আহমদ, পুরান পাড়ার মৌলভী আবদুল গফুরের ছেলে হাফেজ মুক্তার, হারিয়াখালীর নুর আহমদের ছেলে সাদ্দাম, গুরা মিয়ার ছেলে আবুল কালাম, আবুল প্রকাশ কাবিলের ছেলে আমান।

নয়াপাড়ার ঘোনার পাড়ার আজিজ উল্লাহর ছেলে মো. শরীফ, মৃত আবু বক্করের ছেলে রাহামত উল্লাহ, বহত আলীর ছেলে আবদুল্লাহ, জনৈক কবির আহমদ, গোলাপাড়ার শামসুল আলম, হাজীপাড়ার মুজিব উল্লাহ, আকতার কামাল, সাবরাংয়ের মোয়াজ্জেম হোসেন, সাব্বির আহমদ, সাজেদা বেগম, মৌলভি আবদুল্লাহ, মৌলভি ইউনুস, মৌলভি কলিম উল্লাহ, শাহপরীরদ্বীপের আবদু শুক্কুর, লাফার ঘোনার লাল মিয়ার ছেলে আবদুরান।

সাবরাং বাজারপাড়ার হাজি আবদুল করিমের ছেলে হামিদ হোসেন, তাজিয়াকাটার মৃত করিম সিকদারের ছেলে মমতাজ মিয়া, মোজাম্মেল, বটতলীর আবুল কাশেম, লম্বাগোনার নেয়ামত উল্লাহ বাঁশি, বটতলার নুরুল আবছার, আনোয়ারার মধ্যম গহিরার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মো. কামাল, আবদুল হাকিম ওরফে আবদুল হক, গহিরার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মো. লোকমান, আনোয়ারার মধ্য গহিরার মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে মো. জসিম, শাহপরীরদ্বীপ মিস্ত্রিপাড়ার ফয়েজুর রহমানের ছেলে মো. হাসান।

নরসিংদী জেলার মনোহরপুরের রওশন আলীর ছেলে মিশু মিয়া, বগুড়া জেলার সোনাকতলার পূর্ব টেকানী এলাকার তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে সোনা মিয়া, ফৌজদার হাটের উত্তর সলিমপুরের মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে মো. তাজউদ্দিন, মঙ্গলচাঁদের বাড়ির মসিউদ্দৌলার ছেলে হারুন অর রশিদ, উত্তর ছলিমপুরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে রুবেল, মৃত নুরুল আমিনের ছেলে নওশাদ, আবদুর রশিদের ছেলে খোরশেদ, আবু তাহেরের ছেলে জাহেদ।

সিরাজগঞ্জের মারুমান্দির এলাকার বেলাল, গহিরার হাজি হানিফের ছেলে জালাল, দক্ষিণ গহিরার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে জকু মাঝি, দক্ষিণ গহিরার সরুর ছেলে আহছান মাঝি, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের রগুনাথপুরের রবিনের ছেলে রানা, মাগুরার শাপলা হাটের কামরুল, উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়ার মৃত মকতুল হোসেনের ছেলে নুরুল কবির, পশ্চিম সোনাইছড়ির আজিজ উল্লাহর ছেলে কায়সার জনি, সোনারপাড়ার নুরুল কবিরের স্ত্রী রেবি আক্তার, পশ্চিম সোনাইছড়ির মৃত ইউসুফ আলীর রুস্তম আলী, পূর্ব সোনারপাড়ার আবদুল জলিলের ছেলে লালু মাঝি, নুরুল কবিরের ছেলে নুরুল আবছার।

কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ার বিলের আবু ছৈয়দের ছেলে মাহাদুল করিম ওরফে মাহাদু, উখিয়ার লম্বরীপাড়ার ছালেহ আহমদের ছেলে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, পশ্চিম সোনাইছড়ির মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে শাহ আলম, লম্বরীপাড়ার মৃত ইসলাম মিয়ার ছেলে বেলাল ওরফে লাল বেলাল, সোনাইছড়ির ফজল আহমদের ছেলে আক্তার, পশ্চিম সোনারপাড়ার আমির হামজার ছেলে সৈয়দ আলম, সওদাগরপাড়ার মফিজ ওরফে মালয়েশিয়া মফিজ, সোনার পাড়ার জয়নাল আবেদিন, পশ্চিম সোনারপাড়ার জহির আহমদের ছেলে জাফর মাঝি।

খুরুশকুলের খামার পাড়ার আবুল হোছনের ছেলে সৈয়দ হোছন, মোস্তফা মাঝির ছেলে বেলাল, মৃত নুরুল হকের ছেলে আজিজুল হক, মোস্তফা মাঝির ছেলে নুনু, মৃত সোলেমানের ছেলে আনোয়ার হোছন, খুরুশকুলের নুরু মাঝি, চৌফলদন্ডীর দক্ষিণপাড়ার মৃত নুরুল হকের ছেলে একরাম মেম্বার, পোকখালীর আবুল হোসেনের ছেলে শুক্কুর সারাং, হাজি শহর মুল্লুকের ছেলে নুরুল হাকিম মেম্বার, রমজান আলীর ছেলে রুবেল, আলী বকসুর ছেলে আবুল কালাম, খুরুশকুলের টাইমবাজার এলাকার সিকান্দরের ছেলে আরাফাত।

কাউয়ারপাড়ার নুরুল আলম বহদারের ছেলে পারভেজ, নুর মোহাম্মদের ছেলে শামসুল আলম, কক্সবাজারের রেজাউল করিম, কুতুবদিয়াপাড়ার শাহাদাত উল্লাহ, নুরুল হকের ছেলে একরাম ওরফে রাশেদ, আবদুল মালেকের ছেলে বেলাল, জামাল মাঝির ছেলে রেজাউল করিম, কুতুবদিয়াপাড়ার রশিদ আহমদের ছেলে দস্তগীর, মনজুর মাঝির ছেলে আনিসুর রহমান, শাহাদাত উল্লাহর ছেলে কামরুল হাসান, লাল মিয়ার ছেলে বাদশা, শামসুল আলমের ছেলে রিদোয়ান, রশিদ মাঝি, সোনা মিয়া।

নুনিয়ারছড়ার সৈয়দ করিম, বিসিক শিল্প এলাকার খায়ের আহমদের মেয়ে পাখি, পিএমখালীর ছনখোলা এলাকার মোস্তাকের ছেলে শফিউল্লাহ, মৃত সফর মিয়ার ছেলে বাহার উদ্দিন, শাহপরীরদ্বীপ বাজারপাড়ার মৃত সোলতান আহমদের ছেলে ধলু হোসেন ও মো. ইউনুছ, হাজি ছালে আহমদের ছেলে মো. ইসমাইল, ডাঙ্গরপাড়ার মৃত আবু শামা প্রকাশ বাড়ু হাজির ছেলে ফিরোজ আহাম্মদ, মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে দেলোয়ার, মাঝেরপাড়ার মৃত সোলতান আহমদের ছেলে সাহাব মিয়া, মিস্ত্রিপাড়ার জালাল আহমদের ছেলে শরীফ হোসেন, মৃত মোহাম্মদ হোছেনের ছেলে শরীফ হোসেন বুলু, মৃত গণি মিয়ার ছেলে নুর হাকিম মাঝি, বাজারপাড়ার বেলাল উদ্দিন, মিস্ত্রিপাড়ার নুর হোসেন, নজির আহমদের ছেলে নুরুল আলম, হাজি আলী হোসেনের ছেলে এনায়েত উল্লাহ, মৃত হাসেমের ছেলে মো. সেলিম ওরফে সলিম, দলিলুর রহমানের ছেলে মো. হোসেন, জোর আহমদের ছেলে জাফর আহমদ।

দক্ষিণপাড়ার মাহামুদুল মাঝির ছেলে মো. শফিক, আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে আবু তাহের, মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. জাফর, আলী মাঝি, ঘোলাপাড়ার মৃত কবির হোসেনের ছেলে শামসুল আলম, মাঝেরপাড়ার মৃত আবদুল লতিফের ছেলে সাব্বির আহমদ, কালা মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন, পাবনা জেলার হেমজপুর মধ্যপাড়ার বিশু প্রমাণিকের ছেলে মহসিন, হবিগঞ্জের নাজিরপুল এলাকার ছলিম উদ্দিনের ছেলে শহিদ মিয়া, যশোর ডুমুরখালীর আনার মোড়লের ছেলে মিলন হোসেন, নড়াইল কচুয়াডাঙার মৃত মগফুল শেখের ছেলে বিদ্যুৎ শেখ।

প্রতিবেদনে শনাক্ত হওয়া ২৩০ দালালসহ তিন শতাধিক দালাল মানব পাচারের সক্রিয় ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ্য করা হয়। একই সঙ্গে আরো ১৬ মাঝিও জড়িত বলে উল্লেখ্য রয়েছে। এতে বলা হয়, এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলে মানব পাচার বন্ধ হবে।

চট্টগ্রাম কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহিদুল ইসলাম জানান, মানবপাচারের পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। চিহ্নিত পয়েন্টগুলোতে কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত সদস্য বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়াও মানবপাচার বন্ধে কক্সবাজারে আরো চারটি নতুন করে কোস্টগার্ডের ক্যাম্প করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ জানান, মানবপাচার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও তালিকাভূক্ত মানবপাচারকারিদের ধরতে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ৮ ও ১০ মে পুলিশ ও মানবপাচারকারিদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভূক্ত চার মানবপাচারকারি নিহত হয়।রাইজিংবিডি



মন্তব্য চালু নেই