যতদিন যাচ্ছে ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে পেট্রল-ডিজেলের ভাণ্ডার। তাই প্রত্যেকটি দেশ এখন বিকল্প শক্তি খুঁজে। তাই ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে বায়ো-গ্যাসের মতো জ্বালানি। পাশাপাশি গাড়ি তৈরি সংস্থাগুলিও পেট্রল-ডিজেলের বিকল্প ব্যাটারী দিয়ে গাড়ি চালানোর প্রতি উৎসাহিত করছে। সেই মর্মে নিত্য নতুন গাড়িও তৈরি হচ্ছে।

তবে এই সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছেন ব্রাজিলের পাবলিক অফিসার রিকার্দো আজাভেদো। তিনি অভিনব একটি বাইকের আবিস্কার করেছেন। যে বাইক পেট্রল কিংবা ডিজেলে নয়, চলবে পানিতে। শুধু পানিতে চলা নয়, এই বাইকের মাইলেজও মাথা খারাপ করে দেওয়ার মতো। মাত্র ১ লিটার পানিতে ৫০০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে এই মোটরবাইক। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই বাইক চালাতে কোনও বিশেষ ধরনের জলেরও প্রয়োজন হয় না। একেবারে সাধারণ জলই বাইকের জ্বালানির ট্যাঙ্কে ব্যবহৃত হতে পারে।

কীভাবে কাজ করে এই বাইক?

আসলে এর ইঞ্জিন গঠিত প্রধানত দু’টি অংশ নিয়ে- ওয়াটার ট্যাঙ্ক, এবং একটি ব্যাটারি। ব্যাটারির ইলেকট্রিসিটি জলের হাইড্রোজেন মলিকিউলগুলিকে বিশ্লিষ্ট করে দেয়। তারপর একটি পাইপের মাধ্যমে সেই হাইড্রোজেন প্রবাহিত হয় ইঞ্জিনে। এই হাইড্রোজেনই বাইককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপযোগী শক্তি উৎপাদন করে। রিকার্দোর তৈরি করা এই বাইক সব দিক থেকেই পরিবেশবান্ধব। একে তো এই বাইকে কোনও রকম খনিজ তেল খরচ হওয়ার ভয় নেই। উপরন্তু এই বাইক কোনও রকম ধোঁওয়াও উৎপাদন করে না। ফলে পরিবেশ থাকে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।