মাগুরা সরকারি শিশু পরিবারে এক কিশোরির আত্মহত্যা

মাগুরা প্রতিনিধি: সমাজ সেবা অধিদপ্তর পরিচালিত মাগুরা সরকারি শিশু পরিবারে (বালিকা) নদী খাতুন (১৪) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ডরমেটরির বারন্দায় তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সদর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থাায় সে মারা যায়।

সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্বাবধায়ক নাজমা বেগম জানান, আতহত্যার কোন সুনির্দিষ্ট কারণ তারা বুঝতে পারছেন না। তাকে দুই বছর আগে চাপাইনবাবগঞ্জ শিশু পরিবার থেকে এখানে স্থানান্তরিত করা হয়। সে একজন পথ শিশু। এখানে থাকাকালি অবস্থায় তারা মধ্যে নানা মানসিক সমস্যা পরিলক্ষিত হতো। শিশু পরিবারে থাকা অন্যান্য বন্ধুদের সাথে প্রায়ই অস্বাভাবিক আচরণ করতো ও সব সময় বিষন্ন থাকতো। এসব কারনেই সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে তাদের ধারনা। ডরমেটরির বারান্দায় গলায় ওড়না পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।

সদর উপজেলার সমাজ সেবা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, এখানে ১৭৫ জন এতিম ও পথ শিশু আবাসিকভাবে ভর্তি আছে। নদী খাতুন এখানে ১ নম্বর ডরমেটরির ২ নম্বর কক্ষে থাকতো। সে শহরের ভায়না আছিয়া খাতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়ছিল। তার কোন স্বজনের ঠিকানা শিশু পরিবারে লিপিবদ্ধ নেই। পথ শিশু হিসেবে প্রথমে তাকে চাপাইনবাবগঞ্জ শিশু পল্লিতে ভর্তি করে সেখানকার পুলিশ। পরে দুই বছর আগে তাকে এখানে স্থানান্তর করা হয়। পারিবারিক নিঃসঙ্গতা থেকে সৃষ্ট মানসিক সংকটের কারনে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজমল হুদা এ বিষয়ে বলেন ,‘ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষটির তদন্ত চলছে’।



মন্তব্য চালু নেই