মাগুরায় আ.লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ঘে আহত ৩০ জন, ৩২ বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর

মাগুরা প্রতিনিধি ॥ মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের বালিদিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩২টি বাড়ি ঘরে হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সাড়ে চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বালিদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মফিজুর রহমান মিনা ও ইউনুস আলী সর্দারের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের এক পর্যায়ে সোমবার সকালে ইউনুস শিকদারের সমর্থক ইউসুফ মোল্যার জামাই গোলাপ মিয়ার স্ত্রী রেবেকাকে মারধোর ও বাড়িঘর ভাংচুর করে মফিজুর রহমান মিনার লোকজন। এই ঘটনার সূত্র ধরে ইউনুস সমথর্কেরা দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মফিজুর রহমান মিনার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষ চালাকালে উভয় পক্ষের প্রায় ৩২টি বসত ঘরে ব্যাপক হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এতে নারী শিশু ও বৃদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ২০ জনকে মহম্মদপুর, মাগুরা ও ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন আজগার (৩০), ফিরোজ মৃধা (৫০), ইতি (২৫), আতিয়ার মোল্যা (৩৫), ওমর শিকদার (৩০), বকুল মোল্যা (৬০),মোস্তফা (৫০), ইদ্রিস মিনা (৩৫), কাজল মিনা (১৮), হারিম মিনা (৫০), লিটন মিনা (৩০), শরিফুল মিনা (৩৪), শরিফুল মিনা (৩৫), নাজমুল মিনা (২০) ও সামাদ মোল্যা (৪০)। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সংঘর্ষের সময় কামাল মিনা, জামাল মিনা, হারুন মিনা, রবিউল মিনা, আলমগীর মিনা, খায়রুল মিনা, বাবু মিনা, শাদিক মিনা, মফিজ মিনা, তোছাজ্জেল মিনা, রিজাউল মিনা, ওসমান মিনা, ই¯্রাফিল মিনা, নবির মিনা, নান্নুু মিনা, সাইদ মিনা, চান মোল্যা ও ইউনুস সর্দারসহ অন্তত ৩০টি বসত ঘরে ব্যাপক হামলা ভাংচুর ও লুট করা হয় বলে ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.তরিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ১০৮ রাউ- শর্টগানের রাবার বুলেট ও ১৬ রাউ- টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। পরবর্তি পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাগুরার পুলিশ সুপার মুনিবুর রহমার ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই