মাকে পাশে পেয়ে আবেগাপ্লুত তারেক রহমান

লন্ডনে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) লন্ডন সময় সকাল ৭টা ১৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১২টা ১৪ মিনিট) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এরপর কিছুটা সময় ইমেগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে দেখা হলো বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে। এর আগে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের (ফ্লাইট নম্বর-৫৮৫) একটি বিমানে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।

এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে ঢোকার পর প্রথমেই তারেক রহমান মাকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন পরিবেশের। যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ জানান, মা-ছেলে বেশ কিছু মূহূর্ত একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে থাকেন। দুজনেই তখন কাঁদছিলেন। এরপর লাউঞ্জে কিছুক্ষন অবস্থান করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, ছেলে ও দলের স্থানীয় শীর্ষনেতাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। আশেপাশে ততক্ষলে লন্ডনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ভিড়। এরপর খালেদা জিয়া উঠলেন কালো রঙের একটি গাড়িতে। ড্রাইভিং সিটে উঠে বসলেন তারেক রহমান। মাকে ড্রাইভ করে নিজের বাসভবনের পথে নিয়ে গেলেন তিনি।

ব্যক্তিগত এ সফরে খালেদা জিয়া চোখের চিকিৎসা করাবেন। লন্ডনের একটি হাসপাতালে পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান আগে থেকেই অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে রেখেছেন। দীর্ঘ চার বছর পর বড় ছেলে তারেক রহমান, ছেলের বউ জোবায়দা রহমান, নাতনি জাইমা রহমানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাবেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০১১ সালে লন্ডন সফরের সময় তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।

প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই কন্যা জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানের সঙ্গেও লন্ডনে দেখা হচ্ছে খালেদা জিয়ার। এরই মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে দুই মেয়ে নিয়ে লন্ডন পৌঁছেছেন শর্মিলা। এর আগে (১৫ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় রাত আড়াইটায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৭ ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা।

উল্লেখ্য, গত প্রায় ৮ বছর ধরে সপরিবারে লন্ডনে বসবাস করছেন তারেক রহমান। তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেও পরবর্তীতে আইনি জটিলতার কারণে ফেরা হয়নি। আদালতে হাজিরা না দেয়ায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এছাড়া, লন্ডনে পড়াশোনা করছেন তার মেয়ে জায়মা রহমান। এদিকে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই কন্যা আজ সকালেই লন্ডনে পৌঁছেছেন।



মন্তব্য চালু নেই