মাইগ্রেনের ব্যথায় করণীয়

আমাদের দেশে শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ লোক মাইগ্রেনে আক্রান্ত। মাইগ্রেনে ১৫ থেকে ১৬ বছরের নারীদের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এই সমস্যা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ৪৫ বছরের পর পর্যন্ত স্থায়ী হতে দেখা যায়। মাইগ্রেনের আক্রমণের সময় মগজের রাসায়নিক বাহক সেরোটনিন-এর মাত্রা বেড়ে যায় এবং মাথা বাইরের ধমনীগুলো প্রসারিত হয়। তাই মাইগ্রেনের তীব্র ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সব সময় সচেতন থাকা উচিৎ।

লক্ষণ
মাইগ্রেনে আক্রান্ত হলে সাধারণত মাথার এক দিকে (আধ কপালে) ব্যথা হয়। পরে অবশ্য সমস্ত মাথায় ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। মাথা ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব হয়, এমনকি বমিও হতে পারে। এসময় আলো সহ্য হয় না। এ ধরণের মাথা ব্যথা কয়েক ঘন্টাব্যাপী চলতে পারে, অনেকের আবার সারাদিনব্যাপী ব্যথা হয়। মাইগ্রেন প্রতিদিন, সপ্তাহব্যাপী বা মাসব্যাপীও হতে পারে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, মদ্যপানে মাথা ব্যথা বেশী হয়। পনির, চকোলেট ইত্যাদি খাবারেও মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। ঘুমালে ব্যথা একটু কমে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের বংশগত ইতিহাস থাকতে পারে। তবে অধিকাংশ সময় স্নায়ুবিক উপসর্গ থাকে না।

চিকিৎসা
যেসব কারণে মাইগ্রেনের আক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তা পরিহার করতে হবে। স্বল্পস্থায়ী চিকিৎসা হিসাবে অ্যাসপিরিন বা প্যারাসিটামলের সঙ্গে এন্টিইমেটিক দেয়া যেতে পারে। তীব্র আক্রমণের চিকিৎসা হিসাবে সুমাট্রিপটিন, যা মাথার বাইরের ধমনীকে সংকুচিত করে, তা মুখে বা ইনজেকশনের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে। ঘন ঘন আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরোধকারী হিসাবে প্রোপানোলল, পিজোটিফেন বা অ্যামিট্রিপটাইলিন দেয়া যেতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত মেডিটেশন করলে মাইগ্রেনের ব্যথা কমে।



মন্তব্য চালু নেই