মাংস ভোজনে দাঁতের সুরক্ষায় কয়েকটি টিপস
ঈদুল আযহা দোরগোড়ায়। চারদিকে খুশির আমেজ। সেই সঙ্গে কোরবানি করার জন্য পশু কিনতে ব্যস্ত রয়েছে সবাই। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করবেন মুসলমানরা। আর তারপর মাংস খাওয়ার পালা। পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে মাংস ভোজনও আনন্দের বিষয়।
সাধারণত মাংস খাওয়া কিংবা হাড় চিবানোর সুখ থেকে কেউ বঞ্চিত হতে চান না। এই সময় একটু অসতর্কতার কারণে দাঁতে সংক্রমণ হতে পারে, এমনকি দাঁত ভেঙেও যেতে পারে। এমন কিছু টিপস তুলে ধরা হলো যাতে এই ধরনের সমস্যা না হয়।
দাঁত ভেঙে যাওয়া: সাধারণত সুস্থ ও মজবুত দাঁত মাংস ও হাড় খাওয়ার পর দাঁতে চাপ সহ্য করতে পারে, তবে অবশ্যই এর একটা সীমা আছে। যে দাঁতে বড় গর্ত আছে, বড় ফিলিং করা দাঁত, রুটক্যানেল করা দাঁত দিয়ে মাংস হাড় না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে রুটক্যানেল চিকিৎসা করা দাঁতে কৃত্রিম ক্যাপ বা ক্রাউন সংযোজন না করলে কোনো অবস্থাতেই সেই দাঁত দিয়ে শক্ত কিছু খাওয়া উচিত হবে না। অনেকের দাঁত জন্মগত কারণেই গঠনগত দুর্বল থাকে, তাদের ক্ষেত্রে হাড় চিবানো থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
মাড়ির সমস্যা: অনেকের দাঁত ফাঁকা থাকে। বিশেষ করে বয়স্কদের এবং দাঁত ফেলে দিয়ে সেখানে কৃত্রিম দাঁত সংযোজন না করলে, মাংসের আশ সহজেই দাঁতের ফাঁকে ঢুকে যায়, আর একে সঠিক পদ্ধতিতে বের না করলে দ্রুত সেখানে সংক্রমণ হয়। প্রথমে মাড়ি ফুলে যায়, ব্যথা অনুভব হয়, ধীরে ধীরে দাঁত নড়তে শুরু করে। টুথ ব্রাশ সাধারণত এসব দাঁতের মধ্যবর্তী স্থান থেকে খাবার বের করতে পারে না। দুই দাঁতের মধ্যবর্তী স্থানে পরিষ্কারের কার্যকরী মাধ্যম হচ্ছে ডেন্টাল ফ্লস নামক বিশেষ ধরনের সুতা ব্যবহার যা এখন আমাদের দেশের বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায়। এ সুতা ব্যবহার না জানলে ইন্টারনেট বা আশপাশের চিকিৎসকের কাছ থেকে দেখে নেয়া সম্ভব। হাতের কাছে যা আছে যেমন পিন, ধাতব দণ্ড, অপরিষ্কার কাঠি ব্যবহারে জটিলতা বাড়তে পারে। দেশের কিছু কিছু দোকানে এখন ইন্টার ডেন্টাল ব্রাশ পাওয়া যায়। এমন ব্রাশ পেলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
সমস্যা যাই হোক, ঈদের আগেই ডেন্টাল সার্জনের কাছে দাঁত ও মাড়ির সম্পর্কে জেনে নিন, বয়স চল্লিশ বছরের বেশি হলে নিজে বা চিকিৎসকের পরামর্শে রক্তের লিপিড প্রোপাইল দেখে নিন। সুন্দর ও সুস্থতায় কাটুক সবার ঈদ।
মন্তব্য চালু নেই