মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আহমেদ সাঈদের আদালতে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে মহিউদ্দিনসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, নগরীর ও আর নিজাম রোডে বিরোধপূর্ণ জায়গায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণকে কেন্দ্র করে এই মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত এজাহারে আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে চকবাজার থানার ওসিকে তা এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট ইউনুছ জানান, গত ৬ জুন বিকেল ৩টার দিকে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযুক্তরা তাদের বসতিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখায় এবং ভাঙচুর, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও হামলার মাধ্যমে গুরুতর জখম করে।
এতে মামলার বাদী আলিশা প্রপার্টিজের ভাড়াটিয়া দোকানদার নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার সময় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নির্মিত সেমিপাকা ঘরের মধ্যে বসা ছিলেন।
মামলার এজাহারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৮, ১৪৯, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৫০৬/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান অ্যাডভোকেট ইউনুছ।
মামলায় মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ১২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও আর যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন- প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু তাহের ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইমরান হাফিজ, বাগমণিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. গিয়াস উদ্দিন, এমইএস কলেজের জিএস ও নগর যুবলীগের সদস্য আরশাদুল আলম বাচ্চু, ছাত্রলীগ কর্মী মো. ইকবাল, ঠিকাদার এ কে এম নাজমুল আহসান, যুবলীগ নেতা মো. ইদ্রিস, নির্মাণাধীন ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা রক্ষী ফারুক, কাজল ও খোকন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িচালক আলমগীর এবং শিক্ষার্থী মো. রাসেল।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুন নগরীর ও আর নিজাম রোড এলাকায় বিরোধপূর্ণ জায়গায় প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু তাহের বাদি হয়ে নজরুল ইসলামসহ কয়েকজন দোকানদারের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।



মন্তব্য চালু নেই