বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ৩ কারণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার নেপথ্যে তিনটি কারণ বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়ার কবির। তিনি বলেন, ‘প্রথম কারণ, পাকিস্তানের পরাজয়ের প্রতিশোধ। দ্বিতীয় কারণ, ৭২ এর সংবিধান। তৃতীয় ও সর্বশেষ কারণ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা।’

সোমবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে এক গোলটেবিল সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম সংযোজনের দিন ৯ জুন কালো দিবস পালনের জন্য গোলটেবিল সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

শাহারিয়ার কবির বলেন, ‘এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছে আর জিয়া সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছে। এই সংযুক্তির কারণে মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, হয়েছে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা।’

তিনি বলেন, ‘৭২ এর সংবিধানে ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এমনকি বর্তমানে তুরস্ক ছাড়া কোনো দেশে এ ধরনের কোনো রীতি চালু নেই। তাই এখন সময় এসেছে ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।’

ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন আর বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নেই। যদি তাই থাকতো তাহলে তাদের মন্ত্রীরা “বিচার চলা অবস্থায় জামাতের বিচার করা সম্ভব না” এমন মন্তব্য করতেন না। এটি শুনেই বোঝা যায় তা নির্দেশিত মন্তব্য।’

পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে আমি আইনমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছিলাম। সে আমায় বলেছিল, “কি আর করবো বলেন, আমি যে মতাদর্শের সে মতাদর্শের নেতার সংখ্যা এখন আওয়ামী লীগে চার ভাগের এক ভাগ।” তার এ বক্তব্যেই বোঝা যায় যে আওয়ামী লীগে এখন বঙ্গবন্ধুর মতাদর্শের নেতা রয়েছে খুব কম। বলতে গেলে প্রায় হাতে গোনা।’

তিনি বলেন, ‘জাতি আজ জানতে চায়, কেন জামায়াত মৃদুভাষী হয়ে গেল? কেন হেফাজত আওয়ামী লীগকে বন্ধু বলে? কেন প্রাথমিক বইয়ে বাচ্চা মেয়েদের হিজাব পরানো ছবি দেয়া হয়েছে? এ সব কিছুই আমরা বুঝি।’

বিএনাপির রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিএনপি ও খালেদা পাকিস্তানের রাজনীতি করে। তারা একবার ক্ষমতায় আসতে পারলে অবশ্যই পাকিস্তানী রাজনীতি বাংলাদেশে কায়েম করবে।’ তাছাড়া গতকাল ভারত পতাকা বৈঠক করে ৯৩ স্মরণার্থীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

গোলটেবিল বৈঠকে পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অজয় দাশগুপ্তের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের চেয়ারম্যান ঊষাতন তালুকদার এমপি। সংলাপে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, পীযুষ বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই