মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়ারল্যান্ড আ.লীগের আলোচনা সভা

২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগ, আয়ারল্যান্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং আয়ারল্যান্ড ছাত্রলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে জুরিস ইন হোটেল কর্ক এ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

৪৭ তম স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠিত সভার পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য এবং আয়ারল্যান্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সংগ্রামী সভাপতি তৌহিদ হাসান।

আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন সাদাত হোসেন। এরপর সম্মিলিত সুরে জাতীয় সংগীত গান অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথি বৃন্দ ।

উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব রফিক খান ।

সম্মানিত প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা রাখেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক জনাব জাকির হোসেন জামাল ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আয়ারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সহসভাপতি জনাব ফয়জুল্লাহ সিকদার।

অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর্ক আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জনাব জিল্লুর রহমান, আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ন -সাধারণ সম্পাদক ইনজামুল হক জুয়েল, আজমান বাচ্চু, দিপন খান, মিজানুর রহমান।

আয়ারল্যান্ড ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আয়ারল্যান্ড ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক মোঃ নোমান চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা হাসানুজ্জামান হাসিব, সালাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, হেমায়েত হোসেন এবং সজিব নাজমুল।

উক্ত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আয়ারল্যান্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাদিরা খানম পাপড়ি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন। আওয়ামীলীগ নেতা সানাহ উল্লাহ্‌, সৈয়দ এহসানুল হক শান্ত , রিয়াদ চৌধুরী, মাসুদ খান, শাকিল আহমেদ, মহিউদ্দিন মইন, এমারত হোসেন সহ আরও অনেকে ।

সভাপতির বক্তব্যে জনাব রফিক খান বলেন, ১৯৭১ সালের এদিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল। ইতিহাসের পৃষ্ঠা রক্তে রাঙিয়ে, আত্মত্যাগের অতুলনীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে একাত্তরের এই দিনে যে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এ দেশের মানুষ, দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন তার চূড়ান্ত পরিণতি। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার সেই গৌরব ও অহঙ্কারের দিন আজ।

সম্মানিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব জাকির হোসেন জামাল বলেন, ২৫শে মার্চ রাতে সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মূহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

বক্তারা বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন , বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া এবং মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ।



মন্তব্য চালু নেই