মসলার বাজারে ভিড় কম, দাম বাড়েনি

হরেক পদের মসলা ছাড়া কোরবানীর গোশতকে উপাদেয় করা কী অতো সহজ! ঝাল রেজালা হোক বা পোঁড়া কাবাব, রসনায় মসলার মাখামাখি না হলেই নয়। ঈদ বা অন্য কোনো উৎসব এলেই মসলার বাজারের ঝাঁঝে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন ক্রেতারা। বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ান। এতে অতিষ্ঠ ভোক্তাদের অনেকেই তাই কেনাকাটা সারেন ঈদের বেশ আগেভাগেই। তবে এবার মসলার ঝাঁঝ তেমনটা ছড়ায়নি। আগের তুলনায় খুব একটা হেরফের মেলেনি মসলার দামে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউনহল মার্কেট, জাফরাবাদ, ধানমণ্ডির কলাবাগান, হাতিরপুলসহ মহানগরের বিভিন্ন বাজার এবং সড়কের পাশের পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের অনেকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মসলার বাজার এবার স্থিতিশীল রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঈদ-উল-আযহার আগের দিন সকালে মসলার দোকানগুলোতে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং বিকালে মসলার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে বলে বিক্রেতারা আশা করছেন।

শ্যামলীর তোহমিনা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক আখতারুজ্জামান বিটু জানান, আগের বছরের তুলনায় মসলার দামের বড় ধরনের কোনো হেরফের নেই। দাম অনেকটাই সহনশীল রয়েছে। এবার গোটা জিরে কেজি প্রতি ৪৫০ টাকা, ধনের গুড়ো কেজি প্রতি ৩৫০ টাকা ও গোটা ধনে কেজি প্রতি ২২০ টাকা, শুকনো মরিচের গুড়ো কেজি প্রতি ৪০০ টাকা ও গোটা শুকনো মরিচ ২০০ টাকা, সাদা গোল মরিচ কেজি প্রতি ১৫০০ টাকা ও কালো গোল মরিচ ১২০০ টাকা, দারুচিনি কেজি প্রতি ৪০০ টাকা, লবঙ্গ ১৮০০ টাকা, ছোট এলাচ ১৬০০ টাকা, তেজপাতা ৩৫০ টাকা, আদা কেজি প্রতি ১২০ টাকা, রসুন ১২০ টাকা, পিঁয়াজ ৭৫ টাকা, হলুদের গুড়ো ৪২০ টাকা, কিসমিস ৫০০ টাকা, কাজু বাদাম ১২০০ টাকা, পেস্তা কেজি প্রতি ২০০০ টাকা, আখরোট ১২০০ টাকা, আলুবোখারা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতিপিস জয়ফল বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা দামে।

মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা একটি বেসরকারী সংস্থার পরিচালক শামছুন্নাহার  বলেন, ‘মসলা ছাড়াতো আর গোশত রান্না হবে না। তাই এসেছি মসলা কিনতে। আগের বছরের তুলনায় মসলার দামের ক্ষেত্রে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের মতোই আছে মসলার দাম।’

রায়ের বাজার এলাকার একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ব্যবস্থাপক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘অনেকেই গরু-ছাগল কেনা নিয়েই ব্যস্ত আছেন। তাই তারা এখনো মসলা নিয়ে ভাবার সময় করে উঠতে পারেননি। এছাড়া আগেভাগেই মসলা কিনে রেখেছেন এমন লোকের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়।’

ব্যবসায়ীরা জানান, সকালে ভিড় কম হলেও রাতে মসলা কিনতে আসা লোকজনের ভিড়ে জমে উঠবে মসলার বাজার। দ্য রিপোর্ট



মন্তব্য চালু নেই