মশা মারতে হাতিয়ার ছেনি, হাতুড়ি!

মশা মারতে কামান দাগা নয়। আপাতত ছেনি-হাতুড়ির উপরেই ভরসা করতে চাইছেন কলকাতা পুরসভার এক কাউন্সিলর!

এলাকার যে সমস্ত নির্মীয়মাণ আবাসন দীর্ঘদিন তালাবন্ধ অবস্থায় ক্রমশ মশার আঁতুরঘরে পরিণত হচ্ছে, সেগুলির তালা ভাঙতে চাইছেন দক্ষিণ কলকাতার ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সুব্রত ঘোষ।

ইতিমধ্যেই তিনি লেক অ্যাভিনিউ, সাদার্ন অ্যাভিনিউ-সহ একাধিক জায়গায় বন্ধ অবস্থায় পড়ে থাকা নির্মীয়মাণ আবাসনে পুরকর্মীদের নিয়ে অভিযান চালিয়েছেন। সেক্ষেত্রে পুলিশ ও স্থানীয় ক্লাবেরও সাহায্য নিয়েছেন বলে জানাচ্ছেন তিনি। সুব্রতের কথায়, ‘‘অনেক জায়গাতেই প্রোমোটাররা আবাসন নির্মাণ করে সেগুলি বিক্রি না হওয়ায় তালাবন্ধ অবস্থায় ফেলে রেখেছেন। এদিকে জল জমে সেগুলি মশার আঁতুরঘরে পরিণত হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এ নিয়ে অভিযোগও করছেন। তাই পুলিশকে জানিয়ে তালা ভেঙে সেগুলি পরিষ্কার করতে হচ্ছে।’’ রজনী সেন রোড-সহ একাধিক এলাকায় এই অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

স্থানীয়েরা জানালেন, নির্মীয়মাণ বাড়িগুলি মশার প্রজননস্থল হয়ে উঠছে। বাড়ছে ডেঙ্গির আশঙ্কা। লেক অ্যাভিনিউ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দার কথায়, ‘‘প্রোমোটাররা দীর্ঘদিন তালা বন্ধ করে ফেলে রাখছেন। জল জমে দুর্বিষহ অবস্থা হচ্ছে। এমনিতেই শহরে ডেঙ্গির আশঙ্কা রয়েছে। সেটা তো আটকাতে হবে!’’ ৮ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ডেঙ্গির বিরুদ্ধে সারা বছর ধরেই প্রচার চলেছে। এলাকার নির্মীয়মাণ বাড়ির তালিকা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে রয়েছে।’’

পুর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, নির্মীয়মাণ আবাসনের তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়। পুরসভার মুখ্য পতঙ্গ বিশারদ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রোমোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্ধ পড়ে থাকা নির্মীয়মাণ আবাসন খুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। তার পরে মশা নিধন অভিযান চলে।’’



মন্তব্য চালু নেই