মরিনহো- ‘কোচ অব দ্যা সেঞ্চুরি’
স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ তিনি। শোকেসে জমা আছে রাজ্যের সাফল্য। টাচ লাইনে ঠাণ্ডা মাথার বিচক্ষণ কোচ। ইউরোপিয়ান ফুটবলে হোসে মরিনহো যেন এক উজ্জ্বল দ্রোনাচার্যের নাম। নাম-যশ-খ্যাতি সবই পেয়েছেন তিরি। এরই ধারাবাহিকতায় নিজ দেশে বড় সম্মানে ভুষিত হয়েছেন তিনি। পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন তাকে পর্তুগালের শতাব্দীর সেরা কোচ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। লিসবনে ফেডারেশনের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে মরিনহোকে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
৫১ বছর বয়সী হোসে মরিনহো এমন সম্মাননা পেয়েছেন মূলত এফসি পোর্তোর হয়ে সাফল্য দেখানোর জন্য। সঙ্গে যোগ হয়েছে ইন্টার মিলান ও চেলসির মতো দলের হয়ে উল্লেখযোগ্য শিরোপা জেতায়। তবে ব্যতিক্রম পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তো। এ ক্লাব থেকেই মূলত মরিনহোর উত্থান।
২০০০ সালে কোচিং পেশায় অভিষেক। ২০০৩-০৪ মৌসুমেই পোর্তোর মতো দলকে জেতান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা। সঙ্গে টানা দুটি প্রিমিয়ার লিগও। ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল- এরই মধ্যে পোর্তোর হয়ে জেতেন ছোট-বড় ছয়টি শিরোপা, যা মরিনহোকে নিয়ে আসে পাদ প্রদীপের আলোয়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা সেই পোর্তোর দলে ছিল নয়জন পর্তুগাল ন্যাশনাল টিমের খেলোয়াড়। যা জাতীয় দলের গতিকেও ত্বরান্বিত করেছিল।
এ প্রসঙ্গে মরিনহো বলেন, ‘অবশ্যই পোর্তোর হয়ে সেই শিরোপা জেতা ছিল আমার ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ দিক। এমন সাফল্য এসেছিল পর্তুগিজ টিমের হয়ে, যা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল পর্তুগালের জাতীয় ফুটবলেও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতা ছিল বিস্ময়কর, কারণ দলে নয়জনই ছিল পর্তুগালের জাতীয় দলের খেলোযাড়।’
পর্তুগালের শতাব্দীর সেরা কোচ হিসাবে সম্মান পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মরিনহো বলেন, ‘এতে আমি অনেক গর্বিত। পর্তুগিজ ফুটবল ইতিহাসের সেরা কোচ হিসাবে পরিচিত পাওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার’। পোর্তো ছাড়লেও নিজ দেশের দায়িত্ববোধ থেকে সরে আসেনি মরিনহো। বলেছেন, ‘পোর্তো ছেড়ে প্রায় এক যুগ আমি ইংল্যান্ড, ইতালি, স্পেনে কাজ করেছি। তবে আমার মনে সব সময়ই তাড়না ছিল নিজ দেশের ফুটবল ও মানুষের জন্য কিছু করা। তবে এই মুহুর্তে আমি অনেক সম্মানিতবোধ করছি। আমি প্রস্তুত চেলসির হয়ে নতুন ইতিহাস গড়ার’।
পোর্তো ছাড়ার পর ২০০৪ সালে মরিনহো যোগ দেন ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে। ২০০৭ সাল পর্যন্ত এখানে জিতেছেন দুটি প্রিমিয়ার লিগসহ মোট ছয়টি শিরোপা। ২০০৮ এ পাড়ি জমান ইতালির ইন্টার মিলানে। বছর দুয়েকের ব্যবধানে এখানে জেতেন একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও দুটি সিরি‘আসহ পাঁচটি শিরোপা। এরপর যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। বছর তিনেকের মধ্যে জিতেছেন একটি লা লিগাসহ তিনটি শিরোপা। বলতে গেলে রিয়াল মাদ্রিদেই তার শিরোপা খরা গেছে।
তবে দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৩ সালে আবার দায়িত্ব নেন চেলসির। চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ারি লিগে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে তার দল। এছাড়া অন্যান্য টুর্নামেন্টেও বেশ ভালো অবস্থানে রয়েচে দ্যা ব্লুজ শিবির।
মন্তব্য চালু নেই