মরিনহো কুৎসিৎ!

নিজেই নিজেকে ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’ খেতাবে ভুষিত করেছেন। সাফল্যের পাল্লা যতটা না ভারি, তার চেয়েও ভারি তাকে ঘিরে বিতর্কগুলো। চেলসির পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহোকে নিয়ে তৈরী হলো আরেকটি বিতর্ক। খেলা শেষ হওয়ার ঠিক এক মিনিট আগে নাকি প্রতিপক্ষ কোচের সঙ্গে হাত মেলাতে যান তিনি।
এস্টন ভিলার সহকারী ম্যানেজার রয় কিন মরিনহো সম্পর্কে এই প্রসঙ্গ তুলে এনে বললেন, এভাবে হাত মেলাতে যাওয়াটা খুবই কুৎসিৎ ব্যাপার। একটি দল হেরে যাচ্ছে, শেষ মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট দলটির কোচের জন্য একটি মিনিটও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময় যদি কেউ সৌজন্যতা দেখাতে আসে, তাহলে সেটা কেমন দেখায়?
গত মাসেই স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এসে স্বাগতিক চেলসির কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল এস্টন ভিলা। ওই ম্যাচেই মরিনহো কর্তৃক এমন বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হন রয় কিন। তখন ক্যামেরায় তোলা একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে মরিনহোর সঙ্গে বেশ বিরক্তি সহকারেই হাত মেলালেন কিন। এরপর এসেছিলেন এস্টন ভিলার মুল কোচ পল ল্যাম্বার্ট।
তবে মরিনহো এমন কাণ্ড ইচ্ছা করেই করেন কি না তা জানা যায়নি। এমনিতেই দেখা যায় ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে তাকে এ ধরনের কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে। এরপর যখনই শেষ বাঁশি বেজে উঠবে, তখনই টানেলের মধ্যে মাথাটা গলিয়ে দিয়ে হারিয়ে যান তিনি।
ম্যানইউর সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘ম্যাচের পর সৌজন্যতা প্রকাশে তো আমারও কোন সমস্যা নেই। কিন্তু ম্যাচ যখন চলমান, তখন কেমন ধরনের সৌজন্যতা দেখানো।’
রয় কিনের সঙ্গে মরিনহোর সমালোচনায় মেতেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিও। তিনি বলেন, ‘রিয়ালে আসার আগে আমিও এই ক্লাবটির ড্রেসিংরুমের সমস্যার কথা শুনেছিলাম। যেগুলো তৈরী হয়েছিল আমার পূর্বসূরীর সময়ে।’
চেলসিতে আসার আগে রিয়ালে থাকতে সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে বেশ মনোমালিন্য তৈরী হয়েছিল মরিনহোর। রামোসের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে এবং মাঠের বাইরে অধিনায়ক ক্যাসিয়াসের সঙ্গে ঝামেলা তৈরী হয়েছিল মরিনহোর।



মন্তব্য চালু নেই