মন্ত্রী নয়, দলীয় কর্মী হিসেবে ভোট চাইলেন খাদ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী হিসেবে নয়, দলীয় কর্মী হিসেবে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইলেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক বর্ধিত সভায় তিনি এ ভোট চান। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আমরা জানি মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা এ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারবে না। কিন্তু আমি আজ মন্ত্রী হিসেবে নয়, দলীয় কর্মী হিসেবে আমাদের দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কথা বলতে পারব। এতে আমার মনে হয় কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে না।
সর্বাত্মক শক্তি দিয়ে নির্বাচনে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে মহানগর আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় প্রার্থীর বিজয়ে প্রয়োজনে আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।
বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হবে জেনেই খালেদা জিয়া মাঠে নেমে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে অশান্ত করছেন অভিযোগ করে কামরুল বলেন, নির্বাচনের আচরণবিধি ৬ এর ১ (ক)(খ) ধারায় আছে, কোনো প্রার্থীর পক্ষে মিছিল, জনসভা, কিংবা শোডাউন করা যাবে না। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তা করছেন। তাই আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাব, এ কর্মকাণ্ড থেকে তাকে বিরত রাখা হোক। তা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত হবে। বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবে না জেনেই তারা নির্বাচন কমিশনকে অহেতুক বিরক্ত করছেন।
সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এখন নতুন নাটক শুরু করেছেন। আমাদের দলে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেনি, কিন্তু খালেদা জিয়া গাড়িবহর নিয়ে মিছিল করে নির্বাচণের আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। নির্বাচনে কিভাবে জয়ী হতে হয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তা ভালভাবেই জানে।
কয়েকটি গণমাধ্যম ইচ্ছা করেই বিতর্ক সৃষ্টি করছে দাবি করে মায়া বলেন, যারা পত্রিকায় লিখে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন, তারা দয়া করে সত্য কথা লিখেন। তা না হলে দুনিয়ায় পার পেলেও পরকালে জবাবদিহি করতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দফতর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিলন, উপ-দফতর সম্পাদক জামাল উদ্দীন প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই