মন্ত্রী নয়, দলের কর্মী হয়ে ভোট চাইলেন কামরুল!

কিভাবে জয়ী হতে হয় আ.লীগ ভালোভাবেই জানে

নির্বাচনে কিভাবে জয়ী হতে হয় তা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ভালোভাবেই জানে বলে মান্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আযোজিত এক বর্ধিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মায়া বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এখন নতুন নাটক শুরু করেছেন। আমাদের দলের কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেনি। কিন্তু খালেদা গাড়িবহর নিয়ে মিছিল করে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। নির্বাচনে কিভাবে জয়ী হতে হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তা ভালোভাবেই জানে।’

কয়েকটি গণমাধ্যম ইচ্ছা করেই বিতর্ক সৃষ্টি করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘যারা পত্রিকায় লিখে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে দয়া করে সত্য কথা লিখেন। তা না হলে দুনিয়ায় পার পাইলেও পরকালে জবাবদিহি করতে হবে।’

নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, হাজী মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ প্রমুখ।

মন্ত্রী নয়, দলের কর্মী হয়ে ভোট চাইলেন কামরুল!
কামরুলস্থানীয় নির্বাচনে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় বিধিনিষেধ থাকলেও সেই নিয়ম ভেঙেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চান। তবে এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে নয়, দলীয় কর্মী হিসেবে ভোট চাইছি।’

বুধবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আযোজিত এক বর্ধিত সভায় তিনি প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চান।

কামরুল বলেন, ‘আমরা জানি মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা এ নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে পারবেন না। কিন্তু আমি আজ মন্ত্রী হিসেবে নয়, দলের কর্মী হিসেবে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কথা বলতে পারবো। এতে আমার মনে হয় কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে না।’

সর্বাত্মক শক্তি দিয়ে নির্বাচনে কাজ করা হবে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলীয় প্রার্থীর বিজয়ে প্রয়োজনে আমাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।’

‘বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হবে জেনেই খালেদা জিয়া মাঠে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে অশান্ত করছেন’ এমন অভিযোগ করে কামরুল বলেন, ‘নির্বাচনের আচরণবিধি ৬ এর ১(ক)(খ) ধারায় আছে, কোনো প্রার্থীর পক্ষে মিছিল, জনসভা, কিংবা শোডাউন করা যাবে না। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তা করছেন। তাই আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাবো, এ কর্মকাণ্ড থেকে তাকে বিরত রাখা হোক। তা না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত হবে।’

বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবে না জেনেই তারা নির্বাচন কমিশনকে অহেতুক বিরক্ত করছেন বলেও এ সময় দানি করেন সরকারের এই মন্ত্রী।

নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, মুকুল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই