মন্ত্রী নিজেই করলেন ড্রেন পরিষ্কার (দেখুন ভিডিওতে)

হাসপাতাল অপরিষ্কার। বারবার এই অভিযোগ করা সত্ত্বেও অবস্থার কোনও উন্নতি না-হওয়ায় এবার ঝাঁটা হাতে নেমে পড়লেন জঙ্গীপুরের মন্ত্রী জাকির হোসেন।

রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ জাকির হোসেন প্রায় ৪০ জন শ্রমিক নিয়ে হাসপাতালের বাইরের যত আবর্জনা, ড্রেন, জঙ্গল সমস্ত কিছু পরিষ্কারে নেমে পড়েন নিজেই। কোদাল হাতে নিজেই ড্রেন পরিষ্কার করতে শুরু করেন। পাশাপাশি স্লোগান চলতে থাকে ‘এলাকার নোংরা এবং নোংরামো সব দূর করব’।

এদিন এই সাফাই অভিযানে মন্ত্রীর পাশে ছিলেন জঙ্গীপুর পুরসভার পুরপিতা মোজাহারুল ইসলাম ও দলীয় নেতৃত্ববৃন্দ। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল সুপার শাশ্বত মন্ডলকে হাসপাতাল পরিষ্কার রাখার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু, তিনি কোনও ফলই হয়নি তাতে। সিএমওএইচ-কেও চিঠি দিয়ে জানান হয়। সিএমওএইচএর নির্দেশ সত্ত্বেও তিনি কোনও পদক্ষেপ নেননি বলেও অভিযোগ।

এদিন মন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘পিডব্লিউডি ও এই অপদার্থ হাসপাতাল সুপার কোন কাজের নন। তারা শুধু বেতন ভোগ করছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আমি বার বার তাদের হাসপাতাল পরিষ্কার রাখার জন্য আনুরোধ করেছি। কাজ না হওয়ায় নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু কোনওভাবে আমার কথায় কর্ণপাত করেননি তাঁরা। যখন রাজ্য সরকার সমস্ত ব্যবস্থা রেখেছে, তখন মানুষ কেন পরিষেবা পাবেন না? আমি খুব সাধারণ মানুষ। এখন মন্ত্রী হয়েছি। আগেও আমি মানুষের পাশে ছিলাম, আজও আছি। আমি নিজে কোদাল হাতে ড্রেন পরিষ্কার করেছি লোক দেখানোর জন্য নয়। ওই অপদার্থ আধিকারিকদের লজ্জিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই। যাতে এবার তাদের চোখ খোলে।’

জাকির হোসেন আরও বলেন, ‘এই হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা করতে আসেন সুস্থ্য হতে। কিন্তু এই পরিবেশে সুস্থ্য হওয়া তো দুরের কথা, এই অসাস্থ্যকর পরিবেশে আরও বেশি অসুস্থ্ হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক।’

ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি দিয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘নিজেদের কাজ ভাল করে করুন, কোনও অন্যায় আমি বরদাস্ত করব না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই হাসপাতালের মান পরিবর্তন করতে না পারছি, ততক্ষণ পর্জন্ত আমাদের এই অভিযান চলবে।’

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন



মন্তব্য চালু নেই