মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেয়নি, আমরাই পিস টিভি বন্ধ করে দিচ্ছি : কোয়াব সভাপতি

জঙ্গিবাদে তরুণদের প্ররোচিত করার অভিযোগে বিতর্কিত পিস টিভির সম্প্রচার প্রতিবেশী দেশ ভারত বন্ধ করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ অবস্থায় ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সদস্যরা নিজ উদ্যোগেই পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দিচ্ছেন।

এ প্রসঙ্গে কোয়াব সভাপতি মীর হোসেন আখতার বলেন, মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেয়নি, তবে আমরাই পিস টিভি বন্ধ করে দিচ্ছি। এরই মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

কোয়াব সভাপতি বলেন, পিস টিভি নিয়ে আমরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। শনিবার দুপুরেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি কোনও নির্দেশনা দেননি। তবে বলেছেন, রবিবার নিজ মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে আমাদের জানাবেন। তিনি বলেন, পিস টিভি নিয়ে যেহেতু বিতর্ক উঠেছে, সেহেতু আমরা নিজ উদ্যোগেই এর সম্প্রচার বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। আমি অপারেটরদের বলে দিয়েছি এই চ্যানেল যেন আর সম্প্রচার করা না হয়। ইতোমধ্যে বহু জায়গায় পিস টিভি বন্ধ হয়ে গেছে।

পিস টিভির উদ্যোক্তা জাকির নায়েকের বিতর্কিত কথায় তরুণরা জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছে—এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গত ১ জুলাই গুলশান হামলায় জড়িতদের মধ্যে দুই তরুণ জাকির নায়েকের বক্তব্য শুনে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হয়েছে বলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ভারতের কিছু তরুণও জাকির নায়েকের বক্তব্যে জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে একইভাবে প্রকাশ পায়। এরপর নড়েচড়ে উঠে সবাই।

জঙ্গিবাদে তরুণদের উৎসাহ জোগানের অভিযোগে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে ভারত সরকার এখন পিস টিভি নিষিদ্ধের কথা ভাবছে। ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য ও কানাডায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে এর সম্প্রচার।

২০০৬ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পিস টিভি সম্প্রচারিত হচ্ছে। ২০১১ সালের ২২ এপ্রিল শুরু হয় পিস টিভি বাংলা চ্যানেল। বাংলা ছাড়াও বিভিন্ন ভাষায় সম্প্রচারিত হচ্ছে বিতর্কিত এ চ্যানেলটি। মুম্বাইভিত্তিক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান ‘পিস টিভি’। এটা পরিচালনা করেন জাকির নায়েক নিজেই।



মন্তব্য চালু নেই