ফুলবাড়ী, (দিনাজপুর) এর কিছূ খবর
মধ্যাপাড়া খনিতে পাথরের পাহাড়, অবরোধে পাথর বিক্রি শূণ্যের কোঠায়
মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি বর্তমানে লোকসানের ধারা থেকে বেরিয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হওয়ার পথে। বেলারুশের নতুন ঠিকাদারী প্রতিষ্টান জার্মানিয়া-ট্রেষ্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) খনির ব্যবস্থাপনা, রক্ষনাবেক্ষন ও উৎপাদনে দায়িত্ব পাওয়ার পর পূর্বের দৈনিক এক শিফটের পরিবর্তে তিন শিফটে উৎপাদন শুরু করায় বর্তমান ইতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বে খনি থেকে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮শত মে.টন পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হলেও বর্তমানে পাথরের উৎপাদন বেড়ে দৈনিক প্রায় ৪ হাজার মে,টনে দাড়িয়েছে।
পূর্ব নিদ্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ি প্রতিদিনের উৎপাদন সাড়ে ৫ হাজার মে.টন পর্যন্ত অর্জিত হলে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি পুরোপুরি লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান। খনি সুত্রে জানা যায়, মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড, সরকারী তেল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা) এর সহযোগী প্রতিষ্টান। সরকারের জা¦ালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনে গত ১৯৯৪ সালে দক্ষিন কোরীয় কোম্পানী নামনাম এর সাথে ৬ বছর মেয়াদী একটি উন্নয়ন চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুসারে প্রতিদিন ৫ হাজার ৫শ মে,টন হিসেবে বছরে ১.৬ মিলিয়ন টন পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। কোরীয় নামনাম কোম্পানী তাদের চুক্তির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে না পারায় পেট্রোবাংলা ফের উন্নয়ন কাজ তদারকির জন্য পৃথক পোলিশ কোম্পানী কোপেক্স নামে একটি প্রতিষ্টানকে পরামর্শক নিয়োগ করে, একই সাথে নামনামের সাথে চুক্তির মেয়াদও বৃদ্ধি করা হয়।
গত ২০০৬ সালে প্রায় ৯ বছর পর মধ্যপাড়া পাথর খনিতে স্থানীয় খনি শ্রমিক নিয়োগ করে স্বল্প আকারে উৎপাদন শুরু করে। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে বাণিজ্যকভাবে পাথর উত্তোলন শুরু হয়।
৭ বছর ধরে দৈনিক মাত্র এক শিফটে গড়ে প্রতিদিন ৭শ থেকে ৮ মে,টন পাথর উৎপাদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্টান জার্মানিয়া-ট্রেষ্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) সুত্র জানায়, সরকারের সাথে বিগত ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর কঠিন শিলা খনির ব্যবস্থাপনা, রক্ষানাবেক্ষন এবং উৎপাদন চুক্তির অধিনে এই খনিতে বিদেশী ও দেশী খনি বিশেষজ্ঞ এবং দক্ষ খনি শ্রমিক নিয়োগ করে খনিটি তিন শিফটে নিয়মিত উৎপাদন করতে সক্ষম হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ হাজার মে,টন পাথর উত্তোলন করছে, যা পূর্বের চেয়ে প্রায় ৬ গুণ বেশি। খনির মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) ফজলুর রহমান জানান, বর্তমানে খনি ইয়ার্ডে ৯টি স্থানে ৪ সাড়ে লাখ মে.টন বিভিন সাইজের পাথর মজুদ রয়েছে। তবে ৫ জানুয়ারী থেকে টানা অবরোধ ও হরতালের কারনে পাথর বিক্রয় প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
বিগত ডিসেম্বর মাসে প্রতিদিন গড় বিক্রি ছিল ১৮শ মে.টন বর্তমানে তা দায়িছে দেড় শ’ থেকে ২শ’ মে.টন। খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেলওয়ে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বসুন্ধধরা গ্রুপ ও মোনায়েম লিঃ মধ্যপাড়া পাথরের প্রধান ক্রেতা। তারা দাবী করেন, বিদেশ আমদানী করা পাথরের তুলনায় মদ্যপাড়ার পাথর অনেক উন্নতমানের। বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুতে মধ্যপাড়ার পাথর ব্যবহারের জন্য জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে সরকারী নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা চলছে।
ফুলবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ রেল রুট পাহারায় আনছার ও ভিডিপি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে রেল লাইনের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টের ২টি পয়েন্টে পিসি ও এপিসি ৪জন ও আনছার-ভিডিপি ১২জন সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। গত সোমবার থেকে তারা লাঠি হাতে নিয়ে ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিচ্ছেন।
এব্যাপারে পার্বতীপুর রেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ৮টি ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টেগুলো মধ্যে পার্বতীপুর রেল লাইনের ১৭টি পয়েন্টে পিসি ও এপিসি ৮জন ও আনছার-ভিডিপি ২৪, ফুলবাড়ী রেল লাইনের ২টি পয়েন্টে পিসি ও এপিসি ৪জন ও আনছার-ভিডিপি ১২, বিরামপুর রেল লাইনের ৪টি পয়েন্টে পিসি ও এপিসি ৮জন ও আনছার-ভিডিপি ২৪, হাকিমপুর রেল লাইনের ৫টি পয়েন্টে পিসি ও এপিসি ১০জন ও আনছার-ভিডিপি ৩০, চিরিরবন্দর রেল লাইনের ৫টি পয়েন্টে পিসি ও এপিসি ১০জন ও আনছার-ভিডিপি ৩০, বোচাগঞ্জ রেল লাইনের ৬টি পয়েন্টে পিসি ও এপিসি ১২জন ও আনছার-ভিডিপি ৩৬, বিরল রেল লাইনের ৭টি পয়েন্টে পিসি ও এপিসি ১৪জন ও আনছার-ভিডিপি ৪২, সদর রেল লাইনের ৪টি পয়েন্টে পিসি ও এপিসি ৮জন ও আনছার-ভিডিপি ২৪। ৪শ’ জন পিসি, এপিসি আনসার ও ভিডিপি সদস্য বাঁশের লাঠি হাতে নিয়ে ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিচ্ছেন। কোনো ধরনের অঘটন ঘটলে তারা তাৎক্ষণিক সংবাদ দিলে পুলিশ বাহিনী উপন্থিত হবে। এইজন্য তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। হরতাল-অবরোধ সমর্থকদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জেলা আনসার ভিডিবি কার্যালয় থেকে নির্দেশ দিয়েছে।
উলেস্নখ্য, ২০১৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে জামায়াতে ইসলামির নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর রায়ের পর সংঘটিত সহিংসতা এড়াতে অর্ধশতাধিক পয়েন্টের প্রায় ২শ’ কিলোমিটার ২শ জন আনসার নিয়োগ করা হয়েছিল। আপাতত ১০ দিনের জন্য আনসার নিয়োগ করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। প্রয়োজনে মেয়াদ আরো বাড়তে পারে বলেও জানা গেছে।
ফুলবাড়ীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যগে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৫ আজ বুধবার নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে উদ্ভোধন করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যগে সকাল ১০টায় উপজেলা চত্বর থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি পৌর শহর প্রদক্ষিন করে পুনরায় উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে উপজেলা চত্বরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কাদির, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিসেস হাসিনা ভূঁইয়া, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ হাসান আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, সুজাপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
ফুলবাড়ীতে ২৯ বিজিবি’র শীতবস্ত্র বিতরন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ২৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন ও রিলাইন্স ফাইনেন্স্য লিঃ এর উদ্দ্যগে পৃথকভাবে শীতার্থ দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করেছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার রুদ্রানী বিওপি ক্যাম্প চত্ত্বরে শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন করেছেন ২৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি। শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৯ বিজিরি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাহিদুর রশিদ (পিএসসি) এসময় অনান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, ২৯ বিজিবির ডিপুটি অধিনায়ক ক্যাপ্টেন মোঃ শহিদুল ইসলাম(এএমসি), সুবেদার মেজর আতিয়ার রহমান, ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েক সুবেদার লুৎফর রহমান, দাবিলদার মোস্তফা সহ বিজিবির পদস্থ কর্মকর্তাগণ। এসময় রুদ্রানী ক্যাম্প এলাকার শতাধিক জন দুস্থদের মাঝে উন্নতমানের শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই