মধ্যরাতের জন্য ৫টি পারফেক্ট খাবার

বেশি রাত করে খাবার খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। আপনি কি খাচ্ছেন তার থেকে বেশি জানা প্রয়োজন আপনি কখন খাচ্ছেন। কারন, বেশি খাবার ফলে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার ফলে ওজন যতটা বৃদ্ধি পায়, তার থেকে বেশি বৃদ্ধি পায় অসময়ে খাবার ফলে। কিন্তু, রাতে যদি স্বাস্থ্যকর কিছু খাওয়া যায়, তবে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আরও উপকারী হতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি রাতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান, তাহলে তা রাতে আপনার পেশী উন্নয়ন করতে সাহায্য করবে। আবার রাতে যদি গ্লাইকেমিক কার্ব বিশিষ্ট খাবার খান, তাহলে পরবর্তী দিন আপনার রক্তের শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখতে তা সাহায্য করবে এবং আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। নিম্নে রাতে যে খাবারগুলো খাওয়া যায় তা আলোচনা করা হল-

১. ডার্ক চকলেট:
যারা ডায়েট করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য চকলেট সবচেয়ে ভালো খাবার। কিন্তু সব ধরণের চকলেট কিন্তু এক নয়। বিভিন্ন ধরণের প্যাকেজের চকলেট ও ঘরে তৈরি ডার্ক চকলেটের মধ্যে বিশাল পুষ্টির পার্থক্য রয়েছে। অন্যান্য চকলেটে যে পরিমাণে চিনি দেয়া হয়, তার তুলনায় ডার্ক চকলেটে অনেক কম পরিমাণে চিনি থাকে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের রক্তচাপ কমায়, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নতি করে, শরীরের প্রদাহ দূর করে এবং আপনার মেজাজ ঠিক রাখে। পরের বার আপনার রাতে কিছু খাওয়ার ইচ্ছা করলে অবশ্যই ডার্ক চকলেট খাবেন।

২. কুমড়োর বীজের রোস্ট:
রাতে বিরক্তিকর ক্ষুধা নিবারণের জন্য এবং আপনাকে ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত করার জন্য কুমড়োর বীজের রোস্ট অনেক উপকারী। এতে শরীরের প্রস্তাবিত ম্যাগনেসিয়ামের প্রায় ৫০ শতাংশ রয়েছে। ম্যাগনেসিয়ামে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খনিজ যা আমাদের শরীরের উপর ৩০০ ধরণের প্রক্রিয়া করে থাকে। উচ্চ ম্যাগনেসিয়াম সম্পন্ন খাবার আমাদের রাতে বিনোদনে সাহায্য করে। কুমড়োর বীজ একটু ভাজা ভাজা করে তার সাথে লবণ মিশিয়ে নিলে আলুর চিপস এর মত স্বাদ হয়। এতে ভালো পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

৩. পনির:
আপনার যদি প্রচুর পরিমাণে ক্ষুধা লাগে, তাহলে রাতে কুটির পনির খেতে পারেন। এই কোমল ও মসৃণ দুগ্ধজাত পণ্য সবসময় পেটের জন্য ভালো নয়। কিন্তু পনির ছানাজাতীয় প্রোটিন এর একটি বড় উৎস। রাতে খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের প্রোটিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু, পনির রুটি বা পরোটা এর সাথে না খাওয়া ভালো। কারন, এর ফলে হজম শক্তিতে বাধার সৃষ্টি হয়।

৪. স্ট্রবেরি কলার আইসক্রিম:
গবেষণায় দেখা গেছে, রাতে আধা কাপ পরিমাণ আইসক্রিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে এর থেকে বেশি নয়। কারন, এতেই ২০০ ক্যালোরি রয়েছে। তবে কলা ও স্ট্রবেরি দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করলে তা আরও বেশি ভালো। কারন, কলা দেয়ার ফলে আলাদা চিনি দিতে হয় না এবং এতে ফ্যাট ও ক্যালোরির পরিমাণ কমে। আর স্ট্রবেরি দেয়ার ফলে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

৫. হিমায়িত ব্লুবেরি:
দিনের শেষে হিমায়িত ব্লুবেরি শরীরকে রিফ্রেশ করে তোলে। হিমায়িত করার ফলে ব্লুবেরিতে আরও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৃদ্ধি পায়। মানব শরীরের জন্য ব্লুবেরি একটি শ্রেষ্ঠ খাবার। গবেষণায় দেখা গেছে, ব্লুবেরিতে যে পুষ্টি রয়েছে তা মস্তিষ্কের ফাংশন উন্নত করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে। আপনার ডায়েট যদি অতিরিক্ত ক্যালোরি সমর্থন করে, তাহলে ব্লুবেরির সাথে ক্রিম মিশিয়ে নিতে পারেন।

সূত্র: টাইম্‌স অফ ইন্ডিয়া।



মন্তব্য চালু নেই