মদনে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ থানায় মামলা দায়ের

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার মদন উপজেলার বাস্তা গ্রামের ব্র্র্যাক স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী রিতা মনিকে(১২) মঙ্গলবার সকালে একই গ্রামের তিয়শ্রী এন,এইচ খান একাডেমী’র দশম শ্রেণীর ছাত্র কাজল ধর্ষণ করেছে বলে ধর্ষিতা অভিযোগ করেছে।

এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা খাতুনা আক্তার(৫০) বাদী হয়ে কাজলকে আসামী করে বুধবার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বুধবার ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষা করার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

ধর্ষিতা, এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে বাস্তা গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিনের মেয়ে রিতা মনি স্কুলের ল্যাট্রিনে যাওয়ার সময় একই গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে কাজল মুখে ওড়না দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে স্কুলের পেছনের জঙ্গলে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় তার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষক কাজল পালিয়ে যায়। লোকজন তাকে আহত অবস্থায় মদন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। বাস্তা ব্র্যাক স্কুলের শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তার ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রতিদিন ল্যাট্রিনে গেলে ৪/৫ জন একসাথে যায়। কিন্তু ঐদিন সে একাই যায়। তবে বিষয়টি আমি ব্র্যাক কর্তৃপক্ষকে জানালে ২দিনেও কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি।

এ ব্যাপারে বুধবার ধর্ষক কাজল মিয়ার বাড়িতে গেলে কোন লোকজন পাওয়া যায়নি। তবে এ খবর শুনে আসা কাজলের বোন সুফিয়া জানান, আমরা শুনেছি রিতা মনি কাজলকে ডেকে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার জন্য দুজনেই দায়ী।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল কুদ্দুছ জানান, প্রাথমিকভাবে রিতা মনির ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য বুধবার তাকে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মদন থানার ওসি মোঃ মাজেদুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে এবং তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণায় পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই