মজা করতে ৪১ খুন!
আমার বয়স যখন ১৭ তখন জীবনে প্রথমবারের মতো এক নারীকে খুন করলাম। এতে বেশ আনন্দ পেলাম। আমি এটা চালিয়ে যেতে লাগলাম এবং ব্যাপারটা ভালোই উপভোগ করতাম।
এটা কোনো উপন্যাস থেকে নেয়া কোনো সিরিয়াল কিলার চরিত্রের বক্তব্য নয়। এটা পুলিশের হাতে আটক ব্রাজিলের ২৬ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের স্বীকারোক্তি। গত দশ বছরে শুধু মজা করার জন্য ৪১ জনকে খুন করেছেন। এক নারীকে হত্যার সময় পুলিশ সেলসন হোসে দাস গ্রাসাস নামের এই তরুণকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের গ্লোবো টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ কমিশনার পেদ্রো হেনরিক মেদিনা জানান, সেলসন শুধু শেতাঙ্গ নারীদের হত্যা করতেন। কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে সে হত্যা করেননি। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, এ পর্যন্ত চার নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
সেলসন জানান, তিনি মোট ৪১ জনকে হত্যা করেছেন। এদের মধ্যে ৩৭ জন নারী। তিন জন পুরুষ ও দুই বছরের একটি শিশু রয়েছে। এক নারীকে হত্যার সময় শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছিল। কারণ তার ভয় হচ্ছিল, শিশুটি ওই সময় চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা জেনে যেতে পারে।
হত্যাকাণ্ড ও প্রস্তুতির বিবরণ দিয়ে সেলসন বলেন, ‘কাউকে হত্যার কথা যখন চিন্তা করতাম তখন তাকে নিয়ে ২-৩ মাস চিন্তা করতাম।’
তিনি বলেন, ‘হত্যার আগে তাদের পর্যবেক্ষণ করতাম, তাদের নিয়ে গবেষণা করতাম। জায়গার ওপর ভিত্তি করে কখনও আমি এক মাস আবার কখনও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতাম। এই সময়ে তারা কোথায় থাকে, তাদের পরিবার কেমন তা নিশ্চিত হতাম। আামি তাদের বাড়ির ওপর নজরদারি করতাম। পরে কোনো একদিন ভোরে সুযোগ মতো বাসায় প্রবেশ করতাম।’
হত্যাকাণ্ডের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি জানান, কেউ জানতে চিনতে না পারে এ জন্য সে রেইনকোট পরে ভিকটিমের বাড়িতে প্রবেশ করতেন। একই সঙ্গে হত্যাকারীর চিহ্ন লুকানোর জন্য হাতে গ্লাভস পরতেন।
নিজেকে মানুষ হত্যায় আসক্ত দাবি করে এই সিরিয়াল কিলার বলেন, ‘কাউকে হত্যা করতে না পারলে আমার ভেতর অস্থিরতা কাজ করতো। বাড়িতে অস্থিরভাবে পায়চারি করতাম। হত্যা আমাকে শান্ত করতো।’
তবে এই কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো আক্ষেপ বা অনুতাপ নেই জানিয়ে ভয়ঙ্কর এই খুনি বলেন, ‘আমি যদি ১০, ১৫, ২০ বছরের জন্য জেলে যাই কিন্তু যখনই বের হয়ে আসবো তখনই একই কাজ শুরু করবো।’
মন্তব্য চালু নেই