ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আনা হচ্ছে পশু
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার পশু আসছে বাংলাদেশে। এতে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দেয়া পশুর ট্রাকে শুল্কায়ন না করা পশুর গায়ে সিল জালিয়াতি করে লাগিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। ফলে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
সূত্র জানায়, বেনাপোলের পুটখালীর খাটাল ছাড়া সীমান্তের অন্য পয়েন্ট দিয়ে যেসব পশু বাংলাদেশে আসছে সেগুলোর একটিরও ভ্যাট দেয়া হচ্ছে না। তবে এই ফাঁকির মধ্যেও চলতি বছরের আগস্ট অপেক্ষা সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিগুণ শুল্ক আদায় করেছে নাভারণ গবাদি পশু শুল্ক বিভাগ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, যশোরের বেনাপোল, শার্শা, ঝিকরগাছা ও চৌগাছার পশ্চিমজুড়ে রয়েছে ভারত সীমান্ত। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে প্রতিদিনই বৈধ ও অবৈধ ভাবেই আসছে হাজার হাজার গরু, ছাগল, মহিষ। বৈধভাবে আসা গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া ও দুম্বা করিডোরের মাধ্যমে শুল্কায়ন করা হয়। যশোর সীমান্ত পথে আনা পশু থেকে রাজস্ব আদায়ের জন্য শার্শা উপজেলার নাভারণে রয়েছে নাভারণ গবাদি পশু শুল্ক ও করিডোর। তবে পুটখালীর খাটাল সীমান্ত দিয়ে আসা পশু ছাড়া অন্য কোনো সীমান্তের গরু ছাগল শুল্কের আওতায় আসেনি এখনো।
এ বিষয়ে নাভারণ গবাদি পশু শুল্ক ও করিডোর প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘বৈধপথে আসা পশু থেকে সরকার ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই রাজস্ব আয় করেছে পাঁচ কোটি টাকা। এর আগের মাসে সেখানে আয় হয়েছিল ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬শ’ টাকা।’
একই অবস্থা সাতক্ষীরা সীমান্তের বিভিন্ন গরুর খাটালে। ভারত থেকে আসা গরুর মোট সংখ্যার চেয়ে অত্যন্ত নগন্য সংখ্যক গরুর রাজস্ব প্রদাণ করে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও সরকার নির্ধারিত রাজস্বের চেয়ে দ্বিগুন, তিনগুন বা তারো বেশি পরিমাণে রাজস্ব আদায় করে আত্মসাত করছে প্রভাবশালী মহল।
ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে দেশের সর্বনাশ করার চক্রান্তে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
মন্তব্য চালু নেই