ভোট সুষ্ঠু হবে, অভয় দিচ্ছে ইসি

কাল পেরোলেই পরশু পৌর নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ রাত ১২টার পর সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। মধ্যরাতের আগেই এলাকা ছাড়তে বহিরাগতদের। সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ।

ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটারদের আশ্বস্ত করতে চাই আমরা পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী মোতায়েন করেছি। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন। আপনাদের আশ্বস্ত করছি আপনারা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন, কোনো সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘এখন কাউকে কষ্ট করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হয় না। ঘরে বসে থাকলেও তার ভোট দেয়া হয়ে যায়। কত সহজ হয়ে গেছে এখন সবকিছু।’

শাহ নেওয়াজ বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি আজ মধ্যরাতের আগেই বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে। যারা অপ্রয়োজনী, যারা ভোটার না তাদের এলাকা ছাড়তে বলেছি। এ জন্যে রিটার্নিং অফিসার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সব ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে পরিপত্রও জারি করতে বলেছি। প্রার্থীদের আজ রাত ১২টার পর সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ করতে হবে।

নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন জানিয়ে তিনি বলেন, পৌর নির্বাচন উপলক্ষে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ব্যালট পেপার পৌছেঁ গেছে। নির্বাচনের আগের রাতেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।

বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলার পর ইসির বাড়তি কোনো প্রস্তুতি আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
এ বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। আমাদের সব ধরনের নির্দেশনা রয়েছে। যা যা ব্যবস্থা নেয়া দরকার তারা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। তারা যেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বেশি প্রয়োজন মনে করবে, সেখানে বৃদ্ধি করবে। আমাদের তাতে কোনো আপত্তি থাকবে না।

নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে কতটুকু আশাবাদী জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত যে খবর পেয়েছি তাতে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি । যারা দায়িত্ব অবহেলা করবে তাদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেয়া হবে। অব্যবস্থপনা বা অনিময় হলে যেন তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এ নির্দেশনা দেয়া আছে।

নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী দল যারা থাকবে তারা অভিযোগ করবে, এটা একটা ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও আমরা যেগুলো বাস্তবসম্মত সেগুলোর ব্যবস্থা নিয়েছি। অভিযোগ সবসময় বাড়তি হয়ে যায় তারপরও যেগুলো বাস্তব সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে কার্পণ্য করিনি।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এলাকা ছাড়ার কোনো নির্দেশনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে যে এলাকার ভোটার তারা সেখানে থাকবে। আর যারা বহিরাগত তাদের নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে যেতে হবে। আমরা আগেই এ নির্দেশনা দিয়েছি। কোনো পজিশন ছাড়াই বলছি, যারা নির্বাচনী এলাকার ভোটার না তারা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাবেন।



মন্তব্য চালু নেই