ভোট নিয়ে যত আজগুবি কাণ্ড

কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের একটা কবিতা পড়েছিলাম : ‘আবার এলো যে নির্বাচন, বিষণ্নতা আর বিরক্তির এই শহরে।’ এ কবিতার মতো সত্যি আবারও দেশে নির্বাচনের হাওয়া বইছে। চায়ের স্টল, আড্ডার স্থল, হাটবাজার, গ্রামগঞ্জ, মাঠঘাট, সব জায়গায় সবার মুখেই এখন ভোট ভোট ভোট। হ্যাঁ, পাঠক এই ভোট নিয়ে পৃথিবীতে ঘটেছে নানা ধরনের মজার কাণ্ড। আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি সেই সব মজার আজগুবি কিছু ভোটের গল্প।

মানুষ নয় পাউডার নির্বাচিত : চারদিকে বিজ্ঞাপন ঝুলছে- আসন্ন নির্বাচনে যে কোনো প্রার্থীকে ভোট দিন। কিন্তু যদি আপনি ভালো ও পরিচ্ছন্ন থাকতে চান, তবে Pulvapies কে ভোট দিন। এই বিজ্ঞাপনই ভোটারদের বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়। আর এ কারণে নির্বাচিত হয় Pulvapies. Pulvapies কে জানেন? একটি পাউডারের নাম। এই নামেই কম্পানিটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ভোটের আগে। এ ঘটনা অবশ্য মামলা পর্যন্ত গড়ায়। কারণ পরাজিত প্রার্থীরা ঐ পাউডার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে দেয়। ১৯৬৭ সালে ইকুয়েডরে এ ঘটনা ঘটে। সেখানকার অধিবাসীরা একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের ফুট পাউডার বা পায়ে লাগানো পাউডারকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে।

বন্ধুর পক্ষে ভোটে দাঁড়িয়ে উল্টো নির্বাচিত : ফ্যাবিও বোরসাত্তি, ইতালির একটি ছোট গ্রামে থাকতেন। রাজনীতিবিমুখ তিনি। তার এক বন্ধু স্থানীয় নির্বাচনে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে দাঁড়ান। কিন্তু একজন মাত্র প্রার্থী থাকায় নির্বাচন বাতিলের আশঙ্কা দেখা দেয়। তখন ফ্যাবিওর বন্ধু তাকে বলেন নির্বাচনে দাঁড়াতে। ফ্যাবিও কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু নির্বাচন বাঁচানোর জন্য এবং বন্ধুকে নির্বাচিত হতে সাহায্য করার জন্য অবশেষে তিনি নির্বাচনে দাঁড়ান। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। নির্বাচনে দেখা যায়, বন্ধুকে হারিয়ে তিনি নিজেই বিজয়ী হয়ে গেছেন। ফ্যাবিও ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

মৃত্যু থামাতে পারেনি বিজয় : ২০০৯ সাল। ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেট নির্বাচন। মৃত্যুর পরও নির্বাচনে ভোটে বিজয়ী হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন জেরি ওরোপেজা। ঘটনা হলো, ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে তার মৃত্যু হয়। ব্যালটে তার নাম ও প্রতীক থাকায় ভোটাররা মৃত জেনেও তাকেই ভোট দেয়। আর তাতেই বিপুল ভোটে বিজয়ী হন জেরি।

মানুষ নয় বিড়াল মেয়র : পাঠক আপনি হয়তো বিশ্বাস করতে পারছেন না বিড়াল আবার কী করে মেয়র হয়? হ্যাঁ, ঘটনাটা ঘটে আলাস্কার টালকিটনা শহরে। এই শহরে গত ১৫ বছর ধরে মেয়র হয়ে আছে একটি বিড়াল। বিড়ালটির নাম স্টাবস। শহরের মানুষ এই বিড়ালের পক্ষে প্রচারণা চালায় নির্বাচন এলে। অধিবাসীদের দাবি, মানুষের চেয়ে বিড়াল জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভালো। কারণ সে অযথা কর আরোপ করে না। ব্যবসা-বাণিজ্যে হস্তক্ষেপ করে না। সে সৎ। প্রতিদিন ৪০ জনের মত লোক স্টাবসের সাথে সাক্ষাত করতে আসেন।



মন্তব্য চালু নেই