ভোটের আগের রাতের ‘ভোট’ ঠেকাতে রাত জাগবে ইসি
আগের রাতেই ব্যালটে সিল দেয়ার মতো অরাজকতা বন্ধে সারারাত কেন্দ্র মনিটরিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ন্ত্রণে করতে না পারাই নির্বাচনী সহিংসতার প্রধান কারণ দাবি করে ইসি আশা করছে, শেষ দু’দফা নির্বাচনে সহিংসতা কম হবে।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছয় ধাপের চার ধাপ শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী প্রতিটি ধাপেই ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭০ শতাংশের মতো। কিন্তু সবকিছুকে মলিন করে দিয়েছে জায়গায় জায়গায় নির্বাচনী সহিংসতা। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে ৭৮ জন। দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে ক্ষমতা প্রদর্শনসহ বিদ্রোহী প্রার্থী সামাল না দিতে পারাই সব সমস্যার কারণ বলে মনে করছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ বলেন, দেখা যাচ্ছে সব দলেরই কিছু বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছে। এক্ষেত্রে দলগুলোর ব্যর্থতা আছে, নিশ্চয়ই তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি বলেই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করলে এরকম হতে পারে আগেই আমরা এই আশঙ্কা করেছিলাম।
নির্বাচনী সহিংসতার পাশাপাশি আছে আগের রাতেই ব্যালটে সিল মারার মতো অবৈধ প্রবণতা। দুটোকেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগের রাত থেকে সব কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের উপর নজরদারী করার জন্য মনিটরিং সেল গঠন করার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ।
তিনি বলেন, গত পর্বে কয়েকজন প্রিজাইডিং অফিসারসহ কিছু লোক নিজেরাই বুথে সিল দেয়ার মতো কাজ করেছে। এবার কেউ যেনো এসব কাজ করতে না পারে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সজাগ থাকবে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল ঘোষণার পর কোন সরকারি কর্মকর্তার বদলীর বিষয়ে প্রশাসন যেন ভবিষৎতে ইসির সিদ্ধান্তের বাইরে না যায় সে বিষয়েও সর্তক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য চালু নেই