ভোগান্তির পর হাসি ফোটাচ্ছে টিকিট
ঈদ মানেই আনন্দ, উৎসব, হাসি। লেখাপড়া বা জীবিকার তাগিদে সারাবছর দূরে থাকা মানুষগুলো তাই ঈদের সময়টাতে প্রিয়জনের কাছে ছুটে যান হাজারো কষ্ট স্বীকার করে। ঈদে বাড়ি ফেরার ‘যুদ্ধের’ প্রথম পর্বটা হয় টিকিট নিয়ে।
ঈদে যারা বাড়ি ফেরার জন্য বেছে নিচ্ছেন ট্রেন, তাদের জন্য প্রথম পর্বের যুদ্ধ শুরু হয়েছে সোমবার সকাল থেকে। এদিন বিক্রি হয়েছে ৭ সেপ্টেম্বরের টিকিট। ৮ সেপ্টেম্বর যাত্রার টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ আগস্ট। একইভাবে ৯, ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বরের ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে যথাক্রমে ৩১ আগস্ট, ১ ও ২ সেপ্টেম্বর।
প্রতিবারের মতো এবারও টিকিটি বিক্রির শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই থেকেই মানুষ লাইনে দাঁড়াতে শুরু করেন। এরপর বেলা যেত বেড়েছে, লাইনও তত দীর্ঘ হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত টিকিট হাতে পাওয়ার অপেক্ষাতে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেছেন হাজারো মানুষ।
তবে টিকিট হাতে পেয়ে সব ভোগান্তি ভুলেছেন সকলে। মুখে ফুটেছে হাসি।
টিকিটের আশায় ভোর ৪টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী কামনা। তিনি চান নাটোরের টিকিট। সাত ঘণ্টা পর টিকিট হাতে পেয়ে বিজয়ের আনন্দের তৃপ্ত হাসি মুখে নিয়ে কামনা বলেন, ভাইয়ের সঙ্গে ভোর ৪টার সসম এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। প্রায় সাত ঘণ্টা পর টিকিট নামে সোনার হরিণ হাতে পেলাম। খুব ভালো লাগছে। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করবো। এখন সুস্থভাবে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারলেই চলে।
লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসের টিকিট পেয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ছয় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর টিকিট পেয়েছি। ঈদে বড়ি যেতে পারবো। পরিবারকে সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে ঈদ করতে পারব এটাই আনন্দ। তখন আর এই কষ্টের কথা মনে থাকবে না। তাই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে যে কষ্ট করেছি তা ভুলে গেছি।
ঈদের অগ্রিম টিকিট ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আমজাদ হোসেন বলেন, সকাল থেকে ঈদুল আজহার অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। অন্যবারের চেয়ে এবার আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রীরা সুন্দরভাবে টিকেট নিচ্ছেন। কোনো সমস্যা নেই। যারা এসেছেন সবাই টিকেট পাবেন, কোনো সমস্যা হবে না।
রেল কর্তৃপক্ষ আগেই ঘোষণা দিয়েছে, একজন যাত্রী সর্বাধিক চারটি টিকিট কিনতে পারবেন এবং বিক্রিত টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। তবে ঈদে উপলক্ষে ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা পথে মৈত্রী ট্রেন চলাচল করবে না।
মন্তব্য চালু নেই