ভাসানী থাকলে আ.লীগকে বলতেন ‘খামোশ’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেও আওয়ামী লীগ এখন তার রাজনীতি করে না। তার মৃত্যুবার্ষিকী ও জন্মবার্ষিকী পালন করে না। তারা ক্ষমতার যাওয়া এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার রাজনীতে করে। এজন্য তাদের কাছে ভাসানীর আদর্শ গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিএনপি ভাসানীর কৃষক-শ্রমিক-গণমানুষ ও মজলুম মানুষের রাজনীতি করে বলেই তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘ভাসানী খামোশ বললে সবাই চুপ হয়ে যেতো। আওয়ামী লীগ নেতারা আজকে যেসব উল্টাপাল্টা কথা বলছেন, তাদের অবৈধ কর্মকাণ্ডে ও অপশাসনের জন্য ভাসানী আজকে বেঁচে থাকলে বলতেন ‘খামোশ’।’

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আয়োজিত মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় জামায়াতের সাথে জোট করায় বিএনপিকে রাজাকারের দল বলেছেন। তাহলে যে কেউ প্রশ্ন করতে পারে আওয়ামী লীগ তো স্বৈরাচারী এরশাদের সাথে জোট করেছে। তাহলে আওয়ামী লীগও স্বৈরাচারের দল। তারাতো জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাথে জোট করেছে তাহলে কি তারা সমাজতান্ত্রীক পার্টি?’

l-islam-khanবিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, রাষ্ট্র যদি নাগরিকের নিরাপত্তা না দিতে পারে তাহলে সরকারের প্রয়োজন কী? জনগণ যেহেতু এ সরকারকে ভোট দেয়নি। তাই তাদের জবাবদিহিতাও নেই। এই কারণে তারা প্রতিনিয়ত গুম-খুন ও দুর্নীতি করে যাচ্ছে।’

তিনি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি একজন শ্রমিককর্মী হয়ে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে নেতা হিসেবে মানি। তিনি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সবার আগে এগিয়ে আসতেন। সরকারে অবৈধ কর্মকাণ্ডে ও অপশাসনে তিনি আজ বেঁচে থাকলে বলতেন খামোশ।’

কামরুল রাজাকার পরিবারের লোক উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম রাজাকার পরিবারের লোক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি এর ধারে কাছেও ছিলেন না। অথচ তিনি বলেছেন জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেয়া উচিৎ। এমন বক্তব্য দেয়ায় কামরুলকে রাজনৈতিক বেয়াদব বলে আখ্যা দেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিব জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছিলেন। বিএনপি নয় জিয়াউর রহমান নিজ হাতে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছেন। সে জন্যই তাকে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর উত্তম খেতাব দেয়া হয়। তিনি ধার করে খেতাব নেননি।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, অর্থনৈতিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব হাসান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই