ভারতে স্বীকৃতি পেল বিএসটিআই’র মানসনদ
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) কেমিক্যাল (রাসায়নিক) ও ফিজিক্যাল (পদার্থ) ল্যাবরেটরির দেয়া ২৫টি পণ্য এবং ১শ’ ৪৩টি প্যারামিটারের মানসনদ ভারতের স্বীকৃতি পেয়েছে।
ভারতীয় জাতীয় মান নির্ধারণী সংস্থা এনএবিএল এ স্বীকৃতি দিয়েছে। আরও ২০টি প্যারামিটারের পরীক্ষণ সনদ স্বীকৃতি প্রাপ্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এর ফলে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়বে।
বুধবার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত মান ভবনে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে বিএসটিআই আয়োজিত ‘পরিমাপ বিজ্ঞান ও আলোর ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
বিএসটিআই-এর মহাপরিচালক ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব সুষেণ চন্দ্র দাস, এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বিএসটিআই-এর মেট্রোলজি বিভাগের পরিচালক মো. আলী বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ, সঞ্চালনসহ সকল পর্যায়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম তৈরিতে কাঁচামালের যথাযথ পরিমাপ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ব্যবহার দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এর ফলে প্রায়ই জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।’ তিনি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত শিল্প উদ্যোক্তাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহবান জানান।
আমির হোসেন আমু বলেন, ’বিশ্বব্যাপী বর্তমানে সৌর, বায়ু, পানি, কয়লা, গ্যাস ও জৈব পদার্থের মত প্রাকৃতিক উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ পরিমিতভাবে ব্যবহার না করলে প্রাকৃতিক উৎস সহসাই ফুরিয়ে যাবে। ফলে ভবিষ্যতে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হবার পাশাপাশি মানব সভ্যতা মারাত্মক সংকটের মুখে পড়বে।’ তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে বিকল্প জ্বালানি উৎপাদন বৃদ্ধি ও জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবার পরামর্শ দেন। বিদ্যুতের সিস্টেম লস কমাতে তিনি সম্ভাব্য সকল স্থানে জ্বালানি দক্ষ স্মার্ট এনার্জি মিটার প্রতিস্থাপনের তাগিদ দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে দেশে পণ্যের গুণগতমান পরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। এ লক্ষ্যে বিএসটিআই’র প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এটি সম্ভব হলে, বিশ্ববাজারের অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা (Non-Tariff Barriers) অতিক্রম করে বাংলাদেশি পণ্য সহজেই অনুপ্রবেশে সক্ষম হবে। শিল্পায়নে আলোক শক্তির গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেন।
মন্তব্য চালু নেই