ভারতের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতেই হিন্দু হত্যা

বর্তমান সরকারকে উৎখাত ও ভারতের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করতে হিন্দু সম্প্রদায়কে হত্যা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

শুক্রবার (২২ জুলাই) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হানিফ বলেন, ‘বিএনপির নেতা আসলাম চৌধুরীর সাথে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে মেন্দীর সাক্ষাতের পর থেকে দেশে শুরু হয়েছে গুপ্তহত্যা। তাদের লক্ষ্য একটাই, দেশে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা, দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে উৎখাত করা।’

‘তারা ভেবেছিল হিন্দুদের হত্যা করলে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি, প্রতিবেশী রাষ্ট্রটির সাথে আমাদের আত্মার সম্পর্ক। এ সম্পর্ক আমাদের হাজার বছরের। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ১৮ হাজার সৈন্যের রক্তে রঞ্জিত এ সম্পর্ক কেউ ছিন্ন করতে পারবে না, সেটা ষড়যন্ত্রকারীরা বুঝতে পারেনি’, বলেন আওয়ামী লীগে অন্যতম শীর্ষ এ নেতা।

হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গুপ্তহত্যায় জড়িতরা ধরা পড়েছে যারা, তারা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতা। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় যারা এদেশে গুপ্তহত্যা, জঙ্গিবাদ করছে তারা বিএনপি-জামায়াতের। এখানে আইএস কিংবা বিদেশি কোনো সংস্থার অস্তিত্ব বা সম্পর্ক নেই।’

তারেকের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘অর্থপাচার মামলায় তারেকের ৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এই তারেক রহমান রহমান বাংলাদেশে সন্ত্রাসীর রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। এই বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর জন্য তার প্রভু পাকিস্তানের মদদে দেশকে সন্ত্রাস ও মৌলবাদের চারণভূমিতে পরিণত করেছিল। তারেকের মতো সন্ত্রাসী এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে।’

মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার আদর্শ সাইকা প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই