ভারতের সঙ্গে পাতানো ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ!

পাতানো ম্যাচের গন্ধ খুঁজে বেড়ান সাবেক পাকিস্তানি উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান রশীদ লতিফ। এবার লতিফ নয়, আরেক সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার বোমা ফাটালেন, তাও যে সে ব্যক্তি নন। পাকিস্তান ‘এ’ দলের প্রধান কোচ ও দেশের হয়ে ৩৪টি টেস্ট ও ৭০ ওয়ানডে খেলা তৌসিফ আহমেদ। তার দাবি, চেন্নাইয়ে ভারতের কাছে ইচ্ছে করে হেরে গেছে বাংলাদেশ। তিনি আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে এ ম্যাচটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ করেছেন।

২৩ মার্চ সুপার টেনের নিজেদের ডু অর ডাই ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ভারত বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ৭ উইকেটে ১৪৬। পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের। এক পর্যায়ে ৩ বলে মাত্র ২ রান দরকার ছিল। হাতে ছিল ৫ উইকেট। ক্রিজে ছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।যেখানে এক রান করে নিলেই চলে, সেখানে পরপর দুই বলে অনাড়ির মতো ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।

ফলে শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। ১ রান নিতে পারলে সুপার ওভারে গড়াতে পারত ম্যাচ।কিন্তু পান্ডের করা শেষ বলটি ব্যাটে না লাগিয়ে রান নিতে যান শুভাগত হোম। ফলে রান আউট হয়ে যান অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশের কাছে হারলে বিশ্বকাপ থেকেই বিদায় হয়ে যেত ভারতের। নেক্কারজনক ঐ হারের পর দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করে দেশবাসি।

ঐ ম্যাচটিতে পাতানো ম্যাচ দাবি করে পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার তৌসিফ আহমেদ বলেন,‘বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটির ফলাফল আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশন ইউনিটের ম্যাচটি নিয়ে তদন্ত করা উচিত।’

তিনি মনে করেন, ইচ্ছে করেই ভারতকে জয় উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। যেভাবে বাংলাদেশ হেরেছে, তার মধ্যে কোনরকম ক্রিকেটীয় যুক্তি খুঁজে পান না তৌসিফ। বলেছেন,‘বাংলাদেশ এখন আর অনভিজ্ঞ দল নয়। তাদের সবচেয়ে দুজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ক্রিজে ছিলেন। তারা প্রথমে ম্যাচটি ড্র না করে কিভাবে বড় শট খেলার ঝুঁকি নিতে পারলেন। এটা আমার কাছে রহস্য।’

তিনি আরো বলেন,‘ আমার ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা বলছে, সাধারণভাবেই ম্যাচটা বাংলাদেশ জেতার কথা। সবচেয়ে ভালো হয় আইসিসি ম্যাচটি তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করলে। বর্তমান ক্রিকেটে এ ব্যাপারগুলো হরহামেশাই ঘটছে। তাই তদন্ত করাটা দোষের কিছু হবে না।’



মন্তব্য চালু নেই