ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা?
বিপুল বিজয়ে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফিরলেন মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু এরপরও নিজেকে পরিচয় দিলেন ‘কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে। ২০১৯ সালে ভারতের নির্বাচনে মমতাকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে দেখা যাবে কিনা বৃহস্পতিবার এনডিটিভির এমন এক প্রশ্নের জবাবে মমতা নিজের সম্পর্কে ওই কথা বলেন।
মমতা বলেন, ‘আমি সাধারণের একজন, কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি…মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করি। লোভী নই। আপনি যদি আমাকে মুখ্যমন্ত্রী বলে ডাকেন, আমি খুশি হবো না। আপনি যদি আমাকে ‘মমতা দি’ বলে ডাকেন, আমি তাতেই খুশি হবো’।
তিনি বলেন, আমি দেশের জন্য কিছু ভূমিকা পালন করতে পারি, কারণ আমি মাতৃভূমিকে ভালোবাসি এবং আমার দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে দেখতে চাই। আর এই ভূমিকা যদি ক্ষুদ্রও হয়, তবুও পালন করবো।
৬১ বছর বয়সী মমতার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে নারদ, সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালায় বিরোধী শিবির। কিছুদিন আগে কলকাতা ফ্লাইওভার ধসে প্রাণহানির ঘটনাও চাপ তৈরি করেছিল তৃণমূলের ওপর। বৃহস্পতিবার মমতার করা দাবি অনুযায়ী, উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গেছে বিরোধী শিবিরের ষড়যন্ত্র।
পশ্চিমবঙ্গের ছয় দফার নির্বাচন শেষ হয় ৫ মে। ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল এই ভোট। এর আগে আসামে ৪ ও ১১ এপ্রিল দুই দফা নির্বাচন হয়। তামিলনাড়ু, কেরালা, পদুচেরিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৬ মে।
আঞ্চলিক নেতাদের বিজয় ভারতের জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান বিরোধী দল সোনিয়া গান্ধীর কংগ্রেসকে হটিয়ে বড় প্রতিযোগী হয়ে উঠছে কিনা সেটিও এখন সামনে চলে আসছে। পশ্চিবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী ভবিষ্যতে পুনরায় জোট গড়ারও আভাস দিলেন অন্য রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে।
মমতা বলেন, ‘চন্দ্রবাবু নাইডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নিতিশ কুমার, জয়ললিতা, মায়াবতির মতো আমার অনেক বন্ধু আছে, যাদের সঙ্গে আমি কাজ করতে পারি’।
তবে প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশের পর কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধী কংগ্রেসকে এক হাত নিয়েছেন মমতা ব্যনার্জি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও সমালোচনা করেছেন তিনি। মমতা বলেন, জয়ের পর মোদির ফোন ছিল গতানুগতিক। আমি বিজেপির আদর্শের বিরোধী, কেননা তারা বিভাজনের শাসন পছন্দ করে।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতার মসনদে বসা মমতা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সারে জাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্তান হামারা। কংগ্রেসেরও তুমুল সমালোচনা করেছেন মমতা। তিনি বলেন, এই দলটি ভিত্তি হারিয়ে ফেলেছে কেননা দলটি তাদের বন্ধু ভুলে গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৯৪ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২১৫ আসনে জয় পেয়েছে। এ ছাড়া বাম-কংগ্রেস জোট ৭২, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ৭ আসনে জয়ী হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই