ভারতের এক ‘নরপশু’র লালসার শিকার ৫০০ শিশু

ভারতের দিল্লি পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক মারাত্মক পিডোফিলকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশি জেরায় ৩৮ বছরের সুনীল রাস্তোগি এক ভয়াবহ স্বীকারোক্তি দিয়েছে। সুনীল জানিয়েছে, গত ১২ বছর ধরে ৫০০ শিশুর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। আর ২৫০০ বাচ্চাকে তার লালসার শিকার করতে চেয়েছে সে।

২০০৬ সালে এই একই অপরাধে উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরে ৬ মাস জেলও খাটতে হয়েছে পেশায় দর্জি সুনীলকে। পুলিশকে সে জানিয়েছে, স্কুল বা টিউশন ফেরত বাচ্চাদের সে মূলত টার্গেট করত। তাদের টফি বা নতুন জামা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে যেত কোনও পরিত্যক্ত স্থানে। সেখানেই বাচ্চাদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাত সে।

১৯৯০ সালে কাজের খোঁজে বাবা-মাকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছিল সুনীল। তখন একটি দর্জির দোকানে সে কাজ পায়। ২০০৪ সাল থেকে শুরু হয় তার এই ভয়ংকর অপরাধ। ২০০৬ সালে কৃষিজমিতে কর্মরত এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের অপরাধে ৬ মাস জেল খাটতে হয় তাকে। প্রতিবেশীরা সুনীল ও তার পরিবারকে এলাকা থেকে বের করে দিলে বিলাসপুরে গিয়ে তারা বাড়িভাড়া করে থাকতে শুরু করে।

গত বছর ১৩ ডিসেম্বর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সুনীলের হাতে নিগৃহীত হয় ১০ বছরের এক শিশুকন্যা। বাড়ি ফিরে সে কিছু না বললেও, তার আচরণগত পরিবর্তন দেখে সন্দেহ হয় বাবা-মায়ের। তাঁরা মেয়ের কাউন্সেলিং করে গোটা ঘটনা জানতে পারেন। এরপর শিশুটির বর্ণনা অনুযায়ী অপরাধীকে খোঁজার কাজ শুরু করে দিল্লি পুলিশ।

এই অবস্থায় ১২ জানুয়ারি ফের একইভাবে আরও দুই শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আসে। নিউ অশোকনগরের ৯ ও ১০ বছরের দুই শিশু টিউশন থেকে ফেরার পথে সুনীলের খপ্পরে পড়ে। এরপরই অপরাধীকে খুঁজতে বিশেষ দল গঠন করে দিল্লি পুলিশ। অবশেষে কোন্দলি গ্রামের কাছে একটি গোপন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সুনীলকে।



মন্তব্য চালু নেই