ভারতেও কমেছে তিস্তার পানি
এই তীব্র তাপদাহে শুধু বাংলাদেশের অংশে নয় ভারতের অংশেও কমেছে তিস্তার পানি প্রবাহ। ফলে ভারত সরকার এই পানি প্রবাহ কমে যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি এক চিঠিতে বাংলাদেশকে এমনটিই জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, গত মার্চে তিস্তার পানি অস্বাভাবিক কমে যাওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে ভারতকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। সে চিঠির উত্তরে ১০ এপ্রিল পরিস্থিতি জানিয়ে বাংলাদেশকে জবাব পাঠিয়েছে ভারত। এতে বলা হয়, নদীটির পানি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তারাও উদ্বিগ্ন। ভারতের দাবি, চীন থেকে উত্পত্তি হওয়া এ নদীর পানি সেখান থেকেই কম প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীতে পানিপ্রবাহ বেশ কমে গেছে। বিষয়টি তাদেরও ভাবিয়ে তুলেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর আহমেদ খান জানান, বর্তমানে ভারতে লোকসভা নির্বাচন চলার কারণে বিষয়টি নিয়ে এগোনো যাচ্ছে না। তবে কূটনৈতিক তত্পরতা অব্যাহত রয়েছে। দেশটিতে নতুন সরকার গঠন হলে সে সরকারের মনোভাব বুঝে তিস্তার পানি নিয়ে জোর তত্পরতা চালানো হবে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ভারত থেকেই তিস্তায় পানি সরবরাহ অস্বাভাবিকভাবে কমিয়ে দেয়া হয়েছে। নদীটিতে শুষ্ক মৌসুমে গড়ে তিন হাজার কিউসেক পানি থাকে। কিন্তু এবার কমে গেছে ব্যাপকভাবে। পানি কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ অংশে তিস্তা প্রকল্পের আওতায় পাঁচ লাখ হেক্টর জমি সেচের আওতাধীন থাকলেও চলতি শুষ্ক মৌসুমে মাত্র তিন হাজার হেক্টর জমিতে কোনো রকমে সেচকাজ চলেছে। পানিপ্রবাহ এ হারে কমতে থাকলে আগামী বছর এ সেচ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব ভারতের সঙ্গে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য চালু নেই