ভাবতেই পারিনি আমাদের ছাত্ররা জঙ্গি হবে!
যে কোনো ভাবেই হোক আজ আমাদের কিছু সন্তান দুষ্কর্ম করে সমাজের মুখে কালি দিয়েছে। আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা এ ধরনের দুষ্কর্ম করতে পারে, তা কখনোই ভাবিনি। স্বাধীন দেশে জঙ্গিবাদ কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এ জঙ্গিবাদ কোনোভাবেই সহ্য করবো না। এ ধরনের জঙ্গিবাদ, নৃশংসতা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনন্সিটিউটে আয়োজিত জননিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এমন আক্ষেপ প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমাদের (শিক্ষকদের) কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা (শিক্ষার্থীরা) এধরনের দুষ্কর্ম করতে পারে, তা কখনোই ভাবিনি। ভাবতেই পারিনি আমাদের ছাত্ররা জঙ্গি হবে!
বাহান্ন সাল পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের শিক্ষাজীবনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, শিক্ষকরা আমাদের কখনো ছেড়ে দিতেন না। দেখা যাইতো সকালে কিছু খেয়ে লাইব্রেরিতে। লাইব্রেরি শেষ করে ক্লাসে। বিকেলে খেলাধুলা। রাতে পড়তে বসা। শিক্ষকরা আমাদের নিয়ে সব সময় ব্যস্ত সময় পার করতেন। স্বাভাবিক নিয়মের বাকিটা সময়ে সভা, সেমিনার, সাংকৃতিক কর্মকাণ্ড এসব থাকতোই।
সুস্থ ছাত্ররাজনীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ জরুরি। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে সত্তুর পর্যন্ত কয়েক বছর বাদে প্রায় নিয়মিত ডাকসুর নির্বাচন হয়েছে। ছিয়ানব্বই সালে ডাকসুর নির্বাচনের জন্য উদ্যোগী হয়েও শেষ পর্যন্ত আর নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। ডাকসুর নির্বাচনটা কেনো হচ্ছে না? এ বিষয়টির নিরসন দরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বাংলাদেশে পুলিশের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে এমাজউদ্দিন বলেন, কঠোর হয়ে নয়, বন্ধুর মতো আচরণ করে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আরো উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক, শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি শেখ করিব হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই