ভবিষ্যতে আ.লীগের ভাগ্যে কী আছে বলা কঠিন
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড হিটলার ও মুসোলিনকেও হার মানিয়েছে। তাই ভবিষ্যতে তাদের ভাগ্যে কী আছে তা বলা কঠিন।’ রোববার সকালে প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ সাধারণ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। পুলিশ বাহিনী দিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকদের কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। সংবাদপত্র বন্ধ করে গণমাধ্যকর্মীদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকারের এসব কর্মকাণ্ড হিটলার ও মুসোলিনকেও হার মানিয়েছে।’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তারা কোনো ভাবেই সরকারের এসব কর্মকাণ্ড মেনে নেবেন না। আজ হোক কাল হোক জনগণ জেগে উঠবে। আর তখন কী হবে তা বলা কঠিন। আওয়ামী লীগের মতো একটা সিনিয়র দল যদি এমন করে তাহলে ভবিষ্যতে তাদের ভাগ্যে কী আছে তা বলা কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে কতজন মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন আর কতজন পেট্রোলবোমায় নিহত হয়েছেন তার তালিকা প্রস্তুত করা হয়নি বলেই বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের মতো একজন নেতা নিখোঁজ হয়েছেন। রাজনীতি থেকে এমন একজন দৃঢ়চেতা মানুষ হারিয়ে যাবে তা মেনে নেয়া যায় না।’
খালেদা জিয়া তার দলের যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিনকে লুকিয়ে রেখেছেন- ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের কথা কি জাতীয় সংসদে বলা যায়? এর মাধ্যমে সংসদকে অপমান করা হয়েছে। আর এ ধরনের সংসদ তৈরি হয়েছে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর।’
পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ হত্যার রাজনীতি যেমন দেশের জনগণ পছন্দ করে না। আবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে তার একটি তালিকা তৈরি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড.এমাজ উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক ড. জাফর উল্লাহ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই